দলীয় সভায় ফের মদনের নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মদন মিত্র দাবি করেন, "সারদার সঙ্গে তার কোনও আর্থিক লেনদেন ছিল না। শুভেন্দু অধিকারী ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। সুদীপ্ত সেন নিজের চিঠিতে এমনটাই বলেছেন।"
শুভেন্দুকে আক্রমণ মদনের
মদন বলেন, "নেতাজির বাড়িতে কোনও বর্গিকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিজয়বর্গী নেতাজির বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। শুভেন্দু যদি মায়ের লাল হতিস, দিলীপ ঘোষ যখন জুতো মুখের দিকে তুলেছিল আমি হলে কলাট ধরে মঞ্চ থেকে নিমিয়ে দিতাম।" মদন অভিযোগ করেন, "সুদীপ্ত সেন চিঠিতে লিখেছেন, প্রথম ৬ কোটি টাকা আমি যাকে দিয়েছি তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। ভাইপো ভাইরো বলে চিৎকার করছেন, ক্ষমতা থাকলে নাম বলুন। আমি তো নাম ধরেই বলছি শুভেন্দু অধিকারী ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন সুদীপ্তর থেকে। এটা সুদীপ্ত সেন চিঠিতেই লিখেছে। এই চিঠিতে দ্বিতীয় নাম মুকুল রায়। উনি আমায় সারাক্ষণ ব্ল্যাকমেল করেছিলেন। তৃতীয় নাম সুজন চক্রবর্তী। উনি ব্ল্যাকমেল করেছেন আর টাকা নিয়েছেন।" সেইসঙ্গে মদন মিত্র দাবি করেন, "সুদীপ্ত সেন চিঠিতে লিখেছেন, মদন মিত্র খুব ভালো মানুষ বলে তিনি শুনেছেন। মদন মিত্রের সঙ্গে সারদার কোনও আর্থিক লেনদেন ছিল না। ফিরিয়ে দাও আমার ২৩টা মাস। এই ২৩ মাসে আমার বয়স বেড়ে গিয়েছে। বুকটা ভেঙে চুরচুর হয়ে গিয়েছে।"
আরও পড়ুন, 'দুধ চাইলে ক্ষীর দেব, বাংলা চাইলে চিরে দেব', হাওড়ায় BJP-কে মদন-বান
শুভেন্দুকে তোপ
শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, :তুমি মহারাজ সাধু হলেন আজ। আমি আজ চোর বটে। “ আমি প্রমান দিচ্ছি ওর বিরুদ্ধে। আমার বিরুদ্ধে প্রমান দে, আমি ফাঁসি কাঠে ঝুলে মৃত্যু বরন করে নেবো। তুই করবি মৃত্যু বরন? কথায় কথায় বলে লড়াইয়ের ময়দানে দেখা হবে। এইতো লড়াইয়ের ময়দান, জনগনের সামনেই লড়াই হোক। আমি মানুষের সামনে জনতার দরবারে দাঁড়িয়ে সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে প্রমান দিচ্ছি ও শুভেন্দু ছয় কোটি টাকা নিয়েছিল।” প্রসঙ্গত, শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পরে একাধিকবার মদনের নিশানার মুখে পড়তে হয়েছে শুভেন্দুকে।