বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)-কে দেওয়া রাস্তা ফিরিয়ে নিল রাজ্য সরকার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিন তিনি বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানেই এই কথা জানান।
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই রাস্তা দেওয়া হয়েছিল বিশ্বভারতী হাতে। কিন্তু আশ্রমিকদের অভিযোগ পেয়ে তা ফিরিয়ে নিল রাজ্য। অনেক আশ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। তাঁদের অসুবিধার কথা মাাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি সেখানে আসার আগেই ফাইলে সই করে এসেছেন। ওই জমি বিশ্বভারতীর কাছ থেকে নিয়ে তার অধিকার দেওয়া হল পূর্ত দফতরকে।
ওই রাস্তার পাশেই রয়েছে অমর্ত্য সেনের বাড়ি 'প্রতীচী'। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের জমি ঢুকে গিয়েছে সেখানে। আর এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়েন অমর্ত্য সেন।
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)-এর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি তাঁকে চিঠি দিয়েছিলেন জানিয়েছিলেন, সব রকম ভাবে সাহায্য করবেন, বোনের মতো পাশে রয়েছেন। অমর্ত্য সেন ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
রাস্তা ফেরত নেওয়ার এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত খুশি আশ্রমিকেরা। এদিন এই বিষয়ের তাঁদের জানাতে যান বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং। তিনি তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। তাঁরা তাঁকে জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত তাঁরা খুব খুশি। এর ফলে আর চলাচল করতে কোন থেকে কোন সমস্যা হবে না।
বিশ্বভারতীর কাচমন্দিরের উপাসনা গৃহ থেকে কালীসায়র পর্যন্ত রাস্তাটি রাজ্য সরকার পূর্ত দফতরের হাত থেকে দিয়েছিল বিশ্বভারতীর কাছে। ২০১৮ সালে রাজ্য সেটি বিশ্বভারতীকে দিয়েছিল। কিন্তু তারপর বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠে। আশ্রমিকদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী যখন তখন ওই রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে যাতাযাতে অসুবিধা হয় মানুষের। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কোন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে তখন রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয় এর ফলে তাঁদের অনেক সমস্যা হয়।