হুগলিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় (Mamata Banerjee)র সভায় অনুপস্থিত ছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghoshal)। এ ব্যাপারে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানান, হয় তো বিধায়ক থাকা হয়ে গিয়েছে প্রবীরদার। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যা দরকার ছিল, হয় তো পেয়ে গিয়েছেন।
এদিন হুগলিতে সাংবাদিকরা প্রবীর ঘোষালের অনুপস্থিতির ব্যাপারে জানতে চান। তখন ফিরহাদ বলেন, প্রবীর দা যদি না এসে থাকেন, তা হলে আমি কী করব! হয় তো বিধায়ক থাকা হয়ে গিয়েছে প্রবীর দার। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যা দরকার ছিল হয় তো পেয়ে গিয়েছেন। আর নতুন কিছু দরকার নেই।
দলের বিরুদ্ধে তিনি বেশ কিছু বিষয়ে মুখ খুলেছেন। অ ব্যাপারে ফিরহাদের প্রতিক্রিয়া, এটা তো অন্যায়। যদি মুখে খুলতেই হত, তা হলে সাড়ে ৪ বছর আগে মুখ খুলতেন। আর এক-দেড়মাস বাদে ইলেকশন। এখন যাঁরা বীরত্ব দেখাচ্ছেন, তাঁদের এক দেড় বছর আগে বীরত্ব দেখানো উচিৎ ছিল। তার কারণ এটা মানুষ কখনই মেনে নেবেন না, এক থালায় খেলাল, সেই খাবার শেষ করে অন্য থালার দিকে...। এটা হয় না।
তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তিনি কি বিজেপিতে যোগ দেবেন, এই প্রশ্নের জবাবে ফিরহাজ বলেন, এখনও সময় আসেনি। আমি কী করে বলব।
একুশের ভোটে তৃণমূল জিতবে দাবি করে তিনি জানান, এরা মূর্খের স্বর্গে আছে। তৃণমূল ছিল, আছে, থাকবে। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই একাধিক বিষয় নিয়ে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন প্রবীরবাবু। সম্প্রতি কোন্নগর স্টেশন রোড থেকে ডানকুনি পর্যন্ত নৈহাটি রোডের বেহাল রাস্তার বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন তিনি। সেকারণে হুগলিতে তৃণমূল নেত্র্রীর আজকের বৈঠকের দিকে তাকিয়েছিল দলীয় কর্মীরা। অনেকেই ভেবেছিলেন,সমালোচনা করলেও সভায় উপস্থিত থাকবেন প্রবীরবাবু। যদিও শেষপর্যন্ত সভায় দেখা যায়নি তাঁকে।
সূত্রের খবর, গতকাল উত্তরপাড়া ও কোন্নগরের বেশকিছু কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। গতকাল এক সংবাদমাধ্য়মের মুখোমুখি হয়ে আজকের জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্ত আজ সকালে বিধায়ক জনসভায় না গিয়ে অন্যত্র কাজে বেরিয়ে যান। এরপর থেকেই প্রবীর ঘোষালের বিজেপি যাওয়ার জল্পনা বেড়ে গিয়েছে। দলে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী,রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পথেই প্রবীর ঘোষাল? যদিও এই বিষয় এখনও পর্যন্ত সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি প্রবীরবাবু।