কঠিন লড়াই। একদিকে, শাসকদলের তারকা প্রার্থী। অন্যদিকে, আর এক প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে এবার লড়াই ঘরের মাটিতে। সেটা সুবিধা হলেও হতে পারে। এ যেন 'ঘর ওয়াপসি'।
প্রচারে নেমে তৃণমূল-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করছেন। দাবি করছেন, দুই দলেরই মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার উন্নয়ন বলে যা প্রচার করছে, তা ছদ্ম। তিনি সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত ঝাড়গ্রামের সিপিআইএম প্রার্থী মধুজা সেন রায়। এখানকার তৃণমূলের প্রার্থী সাঁওতালি সুপারস্টার বীরবাহা হাঁসদা। বিজেপির সুখময় শতপথী।
তাঁর দাবি, এই এলাকায় বিজেপি, তৃণমুলের মাটি সরে গিয়েছে। তার কারণ একদিকে, মেকি উন্নয়ন। আর অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত।
রাজ্য সরকার তো বলছে জঙ্গলমহলের জন্য অনেক কিছু করেছে বলে দাবি করে। ২টাকা কেজি চাল হোক বা জঙ্গলমহল কাপের মাধ্যমে এলাকার শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ। হেসে উড়িয়ে দিলেন সে-সব। তাঁর পাল্টা দাবি, চাল দেওয়া বাম আমলে শুরু হয়েছিল। ওঁর তো চুরি করা অভ্যাস, সেটই করছেন!
রাজ্যকে আক্রমণ করে বলেন, এমন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যে পা ভাঙা রোগীকে হেঁটে হেঁটে নিজের খাবার নিতে আসতে হয়। গ্রামের ভেতরে রাস্তা নেই, পানীয় জল নেই। যা হয়েছে সব কসমেটিক। পুরসভার নির্বাচন পর্যন্ত বন্ধ।
মুখ্যমন্ত্রী তো সব সভায় বলেন, জঙ্গলমহল হাসছে। মধুজার কটাক্ষ, স্বাভাবিক! খুনিরা চাকরি পেলে হাসে। আর যাঁর বাড়ির লোক খুন হয়েছেন, ১০ বছর বাদে তাঁরা চাকরির পেতে চলেছেন।
বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট কি মানুষ মেনে নিচ্ছেন? তিনি বলেন, মানুষ মেনে নিয়েছেন। কারণ বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনও বিকল্পইই নয়। তারা বিজেপির সুবিধা করে দেয়। রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকা, পেট্রল ১০০ টাকা। সর্ষের তেল ১০০ টাকা। তাই মানুষ বুঝতে পেরেছেন।
ছাত্র রাজনীতির হাত ধরে রাজনীতির শুরু। সেটা ২০০১ সালে। তবে রাজনীতির চেতনা ঝাড়গ্রাম গড়ে দিয়েছিল। আবৃত্তি, গণসঙ্গীতের অনুষ্ঠান যোগ দেওয়া। প্রেসিডেন্সি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই বিষয় নিয়েই স্নাতকোত্তর।
তিনি মুসমিল মহিলাদের ধর্মীয় অধিকার, আইন ও সচেতনতা প্রজেক্ট কাজ করছিলেন। ২০১২ সালে এসএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী হন। ২০১৫ সালে কলকাতা জেলা সিপিআইএম, ২০১৮ সালে সিপিআইএম রাজ্য কমিটিতে জায়গা পান।