Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল যেন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে অর্থাৎ পয়লা বৈশাখে ঠাকুরপুকুর এস বি পার্ক সার্বজনীন খুঁটিপুজোর আয়োজন করেছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুজো কর্তা, শিল্পী সমাজের বিশিষ্টরা। ঢাকের বোল জানিয়ে দিল পুজো আসছে।
এবার বিশেষ
এ বছর কলকাতা বা বাংলার দুর্গাপুজো একটু বিশেষ। কারণ কিছুদিন আগে ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বেশ কয়েকটি কারণের জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই পুজোকর্তারা এখন থেকেই নেমে পড়েছেন নিজেদের পুজোকে আরও বর্ণময় করে তুলতে।
আরও অনেকে
তবে শুধু ঠাকুরপুকুর এস বি পার্ক নয়, এদিন আরও বেশ কয়েকটি পুজোর খুঁটি পুজো সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ তারিখ নলিন সরকার স্ট্রিট ব্য়ানার উদ্বোধন করবে। কলকাতার অনেক জায়গায় বিভিন্ন পুজোকমিটি নিজেদের ব্যানার-হেডিং লাগাতে শুরু করেছে। করোনার জন্য গত ২ বছরে পুজোর আয়োজনে অনেক কাটছাঁট করতে হয়েছিল। সেইসঙ্গে ভিড়-জমায়েতে বিধিনিষেধ ছিল। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে।
সাধারণত রথযাত্রার দিন দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজো করা হত। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই প্রথা ভেঙে গিয়ছে। এখন তার আগে থেকেই খুঁটি পুজো শুরু হয়ে যায়। এবং খুঁটিপুজো অনেক জায়গায় বেশ জাঁকজমক করেই করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিনারের ঠিকঠিকানা নেই? বাড়বে ওজন, উড়বে ঘুম, সঙ্গে আরও সমস্যা
আরও পড়ুন: কাঁচা মাংস খেয়ে টানা ৭৭ দিন কাটালেন যুবক, Instagram-এ ভাইরাল
আরও পড়ুন: শুয়ে শুয়েই কামালেন কোটি কোটি টাকা, নজির তৈরি করেছেন এই যুবক
ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে
বাংলার দুর্গাপুজোকে স্মরণীয় করতে একটি উদ্যোগ নিয়ে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। তাদের পক্ষ শাশ্বত বসু জানান, আইসিসিআরে এক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যেখানে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পী ছবি এঁকেছেন। সেগুলো দুর্গাপুজো সংক্রান্ত ছবি। সেগুলো ইউনেস্কোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা জানানো হবে ওই সব ছবি দিয়ে।
এস বি পার্ক সার্বজনীন
এদিন এস বি পার্ক সার্বজনীন পুজো কমিটির সভাপতি সঞ্জয় মজুমদার জানান, দুর্গাপুজোর প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের দিনই করা হয়। গত ১৫ বছর ধরে নববর্ষের দিন খুঁটি পূজার আয়োজন করা হয় কিন্তু গত দু'বছর হত্যা করা যায়নি এবারে ঢাক বাজিয়ে বেশি করি পূজার আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সুব্রত গঙ্গোপাধ্য়ায়, পার্থ দাশগুপ্ত, বিমল কুণ্ডু, মধুছন্দা সেন, দেবদত্ত গুপ্ত। আজকের দিনে ঢাক বাজিয়ে দেওয়া হল।
মমতার উদ্য়োগ
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী আসার পর দুর্গাপুজোকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি করে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন পুজো কমিটিতে আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেন।
এর পাশাপাশি বড় পুজোকমিটিগুলির কাছে আর্জি জানান, যাতে তারা তুলনামূলক কম বড় পুজোকমিটিগুলোকে তারা সাহায্য করে। তিনি শুরু করেচিলেন কার্নিভালও। যেখানে শহরের বড় বড় পুজোগুলো দেখার সুযোগ থাকে। দুর্গাপুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর আয়োজিত হয় কার্নিভাল। যেন রয়ে যায় উৎসবের রেশ।