scorecardresearch
 

Howrah Metro Station: হাওড়ায় দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ, কেমন স্টেশনটি? দেখুন

হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে বেশিরভাগ স্টেশনের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। গত অগাস্টেই সামনে এসেছে, হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনের ছবি। এবার সামনে এল ভূগর্ভস্থ হাওড়া মেট্রো স্টেশনের চূড়ান্ত রূপ।

Advertisement

হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত রুটে কবে থেকে মেট্রো ছুটবে  সেবিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে  ইস্ট-ওয়েস্ট  মেট্রো সূত্রের খবর, আগামী ডিসেম্বর মাসে হাওড়া ময়দান ও এসপ্লানেডের মধ্যে পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে। আর সেইসঙ্গেই জোর কদমে চলছে স্টেশন নির্মাণের কাজ। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে বেশিরভাগ স্টেশনের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। গত অগাস্টেই সামনে এসেছে, হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনের ছবি। এবার সামনে এল  ভূগর্ভস্থ হাওড়া মেট্রো স্টেশনের চূড়ান্ত রূপ।

 

 

আরও পড়ুন

বর্তমানে দিল্লি মেট্রোর হউজ খাস দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশন। তবে তার থেকেও গভীর হাওড়া মেট্রো স্টেশন। হাওড়া ভূগর্ভস্থ স্টেশনের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫ মিটার। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হলে দেশের  সব থেকে গভীর মেট্রো স্টেশন হবে হাওড়া মেট্রো স্টেশনই।  ইস্ট-ওয়েস্টে মেট্রোর হাওড়া স্টেশনে রয়েছে ৪টি প্ল্যাটফর্ম। সঙ্গে রয়েছে স্ক্রিন ডোর-সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা।

 

 

এখন হাওড়া স্টেশনের  বৈদ্যুতিক, সৌন্দর্যবর্ধন এবং অন্যান্য বিবিধ কাজ পুরোদমে চলছে এবং প্রায় শেষের দিকে। এই বছরের শেষ নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে চালানোর জন্য স্টেশনটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটি চালু হয়ে গেলে হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড যাতায়াত করা সহজ হয়ে যাবে। হাওড়া এবং কলকাতা, এই শতাব্দী প্রাচীন যমজ শহরগুলি হুগলি নদীর নীচে মেট্রো পরিষেবা দ্বারা সংযুক্ত হবে। 

হাওড়়া ভূগর্ভস্থ স্টেশন বর্তমান হাওড়া স্টেশনের ঠিক নীচে তৈরি করা হয়েছে। এই স্টেশনে মাটির নীচে রয়েছে ৫টি তল। এই স্টেশনে মোট ৪টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ৯০ সেকেন্ড অন্তর ট্রেন চলাচল করতে পারবে। ভূগর্ভস্থ হাওড়া স্টেশনের দৈর্ঘ্য ২০৬ মিটার। প্রস্থ ৩৩ মিটার। এই স্টেশনের গভীরতম জায়গাটির ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ মিটার গভীরে অবস্থিত। এই স্টেশনে রয়েছে লিফটের সুবিধা। রয়েছে ৩টি প্রবেশ পথ ও ১২টি লিফট।

Advertisement

 

 

জানা যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ এবং যাত্রী নিয়ন্ত্রণের জন্য হাওড়া স্টেশনের কনকোর্স স্তরে AFC-PC গেট স্থাপন করা হয়েছে৷ এই স্টেশনে, প্রত্যাশিত ভিড় পরিচালনা করতে মোট বত্রিশটি (৩২) AFC-PC গেট ইনস্টল করা হবে৷ গ্রিন লাইনের হাওড়া মেট্রো স্টেশনে সর্বাধিক সংখ্যক AFC-PC গেট থাকবে। এর মধ্যে কুড়িটি (২০)টি গেট হবে দ্বিমুখী যা স্টেশন কর্মীদের পিক আওয়ারে যাত্রী চলাচলের দিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তন করতে সক্ষম করবে। এই আধুনিক গেটগুলো প্রতি মিনিটে ৪৫ জন যাত্রী বহন করতে পারে। এই গেটে যাত্রীরা তাদের মেট্রো টোকেন বা স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করতে পারবে। এই গেটগুলিতে QR কোড স্ক্যানারও এমবেড করা আছে যাতে QR কোড-ভিত্তিক টোকেন থাকা যাত্রীরা এই গেটগুলির মাধ্যমে সহজেই এই স্টেশনে প্রবেশ/প্রস্থান করতে সক্ষম হবে।

প্রসঙ্গত, হুগলি নদীর নীচ দিয়ে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬.৫ কিলোমিটার। তার মধ্যে ১০.৮ কিলোমিটার মাটির তলা দিয়ে যাবে। মাটির উপর দিয়ে যাচ্ছে বাকি ৫.৭৫ কিলোমিটার। এই মেট্রো নিয়ে আগ্রহ রয়েছে বহু মানুষের।

Advertisement