Mamata Banerjee on Rampurhat Violence: বীরভূম জেলাটা খুব সেনসিটিভ জেলা। দুবরাজপুর ঠিক আছে, ল অ্য়ান্ড অর্ডার? রামপুরহাট ইন্সিডেন্ট হত না যদি সেদিন অ্য়াডিশনাল এসপি, ডিএসপি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যেত। বুধবার এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনিক বৈঠক
এদিন তিনি সব রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। মমতা বলেন, "বাংলাকে হাথরস বা উন্নাও করতে দেব না। এটা মাথায় রাখতে হবে। একটা ঘটনা বীরভূমে হয়ে গেছে, কেউ আমরা চাই না। পুলিশ যদি ঠিক সময়ে যেত, তা হলে এমন হত না। যদি তোমার ওখানে কোনও ঘটনা ঘটে, তা হলে তোমাকে তে অ্য়াক্টিভ থাকতে হবে।"
আরও পড়ুন: ভক্তদের জন্য ফের খুলছে বেলুড় মঠ, দেখে নিন কবে-কখন
আরও পড়ুন: এই ইউটিউবার মাত্র ৪২ সেকেন্ডে কামালেন ১.৭৫ কোটি টাকা
আরও পড়ুন: হস্টেল খোলার দাবিতে বিশ্বভারতীর 'দখল' নিল এসএফআই-টিএমসিপি
তিনি আরও বলেন, "আমি যদি খবর পাই, একটা আগুন লেগেছে, সুজিত আমাকে মেসেজ পাটায়, পুলিশ আমাকে মেসেজ পাঠায়। প্রথমেই ওরা আমাকে একটা লাইন দেয় যে ফায়ার ইজ আন্ডার কন্ট্রোল। সেখানে কোনও বস্তি থাকলে আমাদের ডবল অ্যাকশন নিতে হয়। আগে মানুষকে সরাতে হয়। কাজটা কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। জেলার মন্ত্রীদেরও বলব একটা নজর রাখতে। যাতে নিজেরাও খবর পান। আমিও টিম তৈরি করে দিচ্ছি কিছুদিনের মধ্যে।"
এদিন তিনি বলেন, "বীরভূম জেলাটা খুব সেনসিটিভ জেলা। দুবরাজপুর ঠিক আছে, ল অ্য়ান্ড অর্ডার? রামপুরহাট ইন্সিডেন্ট হত না যদি সেদিন অ্য়াডিশনাল এসপি, ডিএসপি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যেত। যে কোনও ঘটনা ঘটনা তার একটা প্রতিক্রিয়া হতেই পারে। তোমাদের নেগলিজেন্সের জন্য এটা হয়েছে।"
মমতা বলেন, "একটা দেশলাই দিয়ে তো আগুন লাগানো যায়। অনেক ভুল হয়েছে। আর সে জন্য সরকারের ফেস লস হয়েছে। তোমাদের জন্য সরকারে ফেস লস কেন হবে? তুমি জানো ওখানে তারাপীঠ পাশেই। কত মানুষ যায়। সেটা আরও অ্যাক্টিভ করে। দেউচা পাঁচামী ঠিক আছে? এটা নিয়ে এখন আলোচনা করব না।"
কে কন্ট্রোল করে, জানি
তিনি বলেন, "নানুর প্রবলেমেটিক এরিয়া, ঠিক আছে? কন্ট্রোল তো তোমরা করো না। কন্ট্রোল কে করে আমি জানি। তার একটু বেগড়বাই হলেই গেল। পুলিশ যদি কন্ট্রোল করত, তা হলে এই একটা ঘটনা নিয়ে মিডিয়া যেভাবে আমাদের মুখ পুড়িয়েছে, তা হত? আমরা তো ঘটনাকে সাপোর্ট দিইনি। আমরা তো মর্মাহত।"
বিরোধীদের তোপ
তিনি আরও বলেন, "রাজনৈতিক ভাবে বলছে, অভিযোগ করে, চাকরি, টাকা দিয়ে নাকি আমরা ঘুষ দিয়েছে। হাথরস, উন্নাওয়ে যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ওরা কতটা সাহায্য করেছে। চাকরি আমার কোটা থেকে দিয়েছি। প্রত্য়েক মন্ত্রীর কোটা রয়েছে। একবছর তাঁরা কাজ করবেন, ১০ হাজার টাকা মাইনে। পরের বছর থেকে পার্মানেন্ট হয়ে যাবে। বোঝা উচিত এদের, শেখা উচিত এদের। আমার হাতে বেশ কয়েকটা দফতর রয়েছে।"