scorecardresearch
 

Tips to Use Sunscreen: কোন সানস্ক্রিন আপনার জন্য বেস্ট? ব্যবহারের সঠিক উপায় না জানলে বাড়বে সাইডএফেক্ট

Skin care tips: ত্বক বিশেষজ্ঞরা এই ঋতুতে সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু কিছু মানুষ সানস্ক্রিন লাগানোর সঠিক উপায় জানেন না, যার কারণে অনেক সময় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বহন করতে হয়।

Advertisement
সানস্ক্রিন লাগানোর সঠিক উপায় জানেন তো? সানস্ক্রিন লাগানোর সঠিক উপায় জানেন তো?

Right Way to Apply Sunscreen: গ্রীষ্মের মরশুমে ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হবে কারণ এই ঋতুতে প্রচণ্ড সূর্যের আলো এবং গরম বাতাস মুখকে খারাপভাবে ঝলসে দেয় । এই ঋতুতে সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করেন স্কিন এক্সপার্টরা। কিন্তু কিছু মানুষ সানস্ক্রিন লাগানোর সঠিক উপায় জানেন না, যার কারণে অনেক সময় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বহন করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে আজকে আমরা এখানে সানস্ক্রিন লাগানোর সঠিক উপায় নিয়ে আলোচনা করব। 

সানস্ক্রিন লাগানোর সঠিক উপায়
আপনি জানেন যে সানস্ক্রিন লাগানোর ২-৩ ঘন্টা পরে, এর প্রভাব শেষ হয়। মানে সানস্ক্রিন লাগানোর পরেও আমাদের ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে পারে। তাই দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর আবার মুখে সানস্ক্রিন লাগান, তা না হলে মুখে ব্রণ ও জ্বালা-যন্ত্রণার সমস্যা শুরু হতে পারে।

পাশাপাশি, আপনার সর্বদা ৩০  এসপিএফ বা  ৩০ এসপিএফ-এর বেশি সানস্ক্রিন কেনা উচিত। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। খেয়াল রাখবেন, আবহাওয়া যাই হোক না কেন, মুখে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। এটি ট্যানিং থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। সমস্ত স্কিন টোনের মানুষেরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। 

আরও পড়ুন

 

 

সানস্ক্রিন লাগানোর উপকারিতা
সানবার্ন প্রতিরোধ করে

গ্রীষ্মে আমাদের ত্বক নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ এটি। রোদে পোড়া আমাদের ত্বককে দুর্বল করে দেয় । সানবার্ন মুখে দাগের একটি প্রধান কারণ। তাই গরমে বাইরে যাওয়ার আগে প্রতিদিন সানস্ক্রিন লাগান। বিশেষ করে চোখের নিচে সানস্ক্রিন দিয়ে বাইরে যাওয়ার ফলে 'আই ব্যাগ' তৈরি হয় না। 

ট্যানিং হয় না
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি ট্যানিং একটি বড় সমস্যা। ট্যানিং মানে আমাদের শরীরের খোলা অংশ যা দীর্ঘক্ষণ সূর্যের সংস্পর্শে থাকার কারণে কালো হয়ে যায় তাকে ট্যানিং বলে। তাই এই ট্যানিং এর প্রতিকার হল বাইরে গেলে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখুন। দ্বিতীয়ত, ৩০  বা তার বেশি এসপিএফ সহ একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। 

Advertisement

 সেরা কস্মেটিক অপশন
আজকাল বেশিরভাগ সানস্ক্রিনে একসঙ্গে ময়েশ্চারাইজারের কম্বিনেশন  রয়েছে। তাই আমাদের আলাদা করে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার নিতে হবে না। সেজন্য ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে  শুধুমাত্র ভালো ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। 

ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন যেমন কোলাজেন, ক্যারোটিন এবং ইলাস্টিন আমাদের ত্বককে নরম ও সুস্থ রাখে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে এই সমস্ত উপাদানকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন লাগান। 

অকাল বার্ধক্য এড়িয়ে চলুন
আসলে, সানস্ক্রিন আপনার ত্বকে এক ধরনের প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে যাতে সূর্যের রশ্মি সরাসরি আপনার ত্বকের ক্ষতি না করে, যা ফ্রেকলস, ফাইন লাইন এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করা সহজ করে তোলে। 

 ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ
সানস্ক্রিন ত্বককে ক্যান্সার থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করে।  উদাহরণস্বরূপ মেলানোমা সবচেয়ে খারাপ ত্বকের ক্যান্সার হিসাবে বিবেচিত হয় যা মহিলাদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। 

সানস্ক্রিন সম্পর্কিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
আমরা মনে করি সানস্ক্রিন লাগানোর পর আমাদের ত্বক সম্পূর্ণ নিরাপদ, কিন্তু তা নয়। প্রকৃতপক্ষে, মে-জুন মাসে যখন সূর্যের তেজ যখন শীর্ষে থাকে, যতটা সম্ভব ত্বককে সরাসরি সূর্যের সংস্পর্শে থেকে রক্ষা করা উচিত। সানস্ক্রিন লাগানোর  পাশাপাশি বড় পোশাক পরুন। বিশেষ করে এই দিনগুলিতে জল ভিত্তিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।  

 সানস্ক্রিন লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে তো জানলেন, তবে  রোদ ও তাপ মুখের আরও অনেক  ক্ষতি হয়। প্রচণ্ড গরমের কারণে আমাদের মুখে বলিরেখা, পিগমেন্টেশন, ব্রণ এবং ফাইন লাইন দেখা দিতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে, লোকেরা সাধারণত কোনও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ঘরোয়া প্রতিকার এবং ক্রিম প্রয়োগ করতে শুরু করে, যা ভুল। যখনই আপনার ত্বক সংক্রান্ত কোন সমস্যা হয়, কোন প্রতিকার নেওয়ার আগে প্রথমে ডাক্তারের সঙ্গে  যোগাযোগ করুন। 

Disclaimer: এই বিষয়বস্তু শুধুমাত্র পরামর্শ সহ সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। আজতক বাংলা  এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।

Advertisement