scorecardresearch
 

অন্য মহিলার জন্য স্বামী ছেড়ে দেন, আজ তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা সুন্দরী

মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০২২ এর খেতাব জয়ী মহিলার নাম প্রিয়া পারমিতা পাল। প্রিয়া মুম্বইতে থাকেন এবং একটি আইটি কোম্পানিতে প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং লাইফ কোচ। Aajtak.in-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রিয়া বলেন, "আমি আমার জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি কিন্তু কখনও সাহস হারাইনি, শুধু এই কারণেই আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।'

Advertisement
প্রিয়া পারমিতা পাল প্রিয়া পারমিতা পাল

বিয়ের পর নারীদের জীবন অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে কারণ একদিকে তাদের স্বপ্ন থাকে, অন্যদিকে সংসার ও সন্তানের দায়িত্ব থাকে। এই সব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারীর জীবনে নানা প্রতিকূলতা দেখা দেয়। অনেক সময় এই অসুবিধাগুলি বিবাহিত জীবনকেও ধ্বংস করে দেয়। আজ আমরা আপনাদের এমন এক নারীর সাফল্যের গল্প বলছি যেখানে একজন কর্মজীবী ​​নারীর স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু যখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, তখন তিনি এগিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন এবং এখন তিনি মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল 2022 খেতাব জিতেছেন। তিনি ২০২২ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত হতে চলা মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডের ফাইনালিস্টও। তো চলুন এবার জেনে নিই তার সাফল্যের গল্প।


কে এই মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল 2022

মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০২২ এর খেতাব জয়ী মহিলার নাম প্রিয়া পারমিতা পাল। প্রিয়া মুম্বইতে থাকেন এবং একটি আইটি কোম্পানিতে প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং লাইফ কোচ। Aajtak.in-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রিয়া বলেন, "আমি আমার জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি কিন্তু কখনও সাহস হারাইনি, শুধু এই কারণেই আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। আমি চাইলেই হাল ছেড়ে দিতে পারতাম। কিন্তু ভেবেছিলাম জীবনে ত্যাগ করে কিছু হবে না, স্বপ্ন পূরণ করব। আজকে দেখ, ছোটবেলায় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম, সেই স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করছি।"

 


স্বামী ছেড়ে চলে যায়, চাকরিও হারান

প্রিয়া বলেন, “এটা ২০১৬ সালের কথা। বিয়ের পর আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে বেশ ভালোই থাকতাম এবং চাকরিও করতাম। শাশুড়ি আর স্বামীর দুই ভাই আমাদের সঙ্গে থাকতেন। কিছুদিন পর আমি আর আমার স্বামী আলাদা হয়ে যাই। একদিন আমি যখন অফিসে ছিলাম, আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে একটি ইমেল পাই। ইমেলে লেখা ছিল, আমি তোমার সঙ্গে থাকতে পারব না, আমি চলে যাচ্ছি। এরপর তাকে অনেক কল ও মেসেজ করেও কোনও সাড়া পাইনি। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল তার একটা এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার ছিল, যার কারণে সে চলে যায়। এরপর সে তার বাবা-মায়ের কাছে চলে যায়। আমি তাকে দুই বছর ধরে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনও সাড়া পাইনি। ওই দুই বছরে আমি ডিপ্রেশনে চলে যাই, যার কারণে চাকরিও হারাই। চাকরি ছাড়ার পর বাড়ির ইএমআই ও অন্যান্য খরচ আমার টেনশন আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। এর পরে আমি চেষ্টা করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং অবশেষে ২০১৮ সালে আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছিলাম।'

Advertisement

 


নিজেকে এভাবে বদলান

প্রিয়া বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই সুন্দরী হতে চেয়েছিলাম কিন্তু শ্বশুরবাড়ির রক্ষণশীল মানসিকতার কারণে আমি আমার স্বপ্ন ছেড়ে দিয়েছি। আমি যখন এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম, তখন আমি নিজেকে নিয়ে কাজ শুরু করি এবং আমি যে স্বপ্ন দেখেছিলাম তা পূরণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। আমি খুশি যে আমি নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নত করতে কাজ শুরু করেছি এবং নিজেকে ভালবাসতে শুরু করেছি। আমি সেল্ফ-হিলিং, যোগব্যায়াম ইত্যাদি অবলম্বন করেছি, যা আমাকে মানসিকভাবে শক্ত হতে সাহায্য করেছে।"

প্রিয়া আরও বলেন, “এর পর আমি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং আমার ব্যক্তিত্ব নিয়ে কাজ শুরু করি। আমি অনেক চাপের মধ্যে ছিলাম এবং একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিয়তায় অংশ হওয়ার জন্য আমাকে সেই চাপ কমাতে হতো। আমি আমার মানসিক চাপ কমিয়েছি এবং আমার ওজন প্রায় ১০ কেজি কমিয়েছি। আমি অনেক দৃঢ়, সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলাম, যা কোনও পরিস্থিতিই আমার ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে দেয়নি। আজ আমি মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডের ফাইনালিস্ট। আমি ভবিষ্যতেও এই যাত্রা চালিয়ে যাব।”

 

Advertisement