গভীর এবং পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সকলের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সবারই ৭-৮ ঘন্টা গভীর ঘুম ঘুমানো উচিত। যদি কেউ পর্যাপ্ত ঘুমোতে না পারেন, তাহলে তাঁর সারাদিন অস্বস্তিতে কাটে। ক্লান্তি, মাথাব্যথা সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। নিউট্রিশন এক্সপার্ট এবং নিউট্রেশন এক্সপার্ট সীমা পটেল দ্য মিররকে জানিয়েছেন যে যদি কেউ ইটিং হ্যাবিটে ভুল করেন, তাহলে তাঁর রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে। খাওয়া-দাওয়ার বদভ্যাস, ভুল জিনিস খাওয়া, আমাদের শরীরের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। সীমা পটেলের বক্তব্য অনুযায়ী যদি কেউ রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে না পারেন, তাহলে নীচে বলা জিনিসগুলি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে বিচার করুন। হয়তো এগুলির মধ্যে কোনও একটির জন্য আপনার ঘুম নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে কমিয়ে ফেলুন ওজন, এভাবে হয়ে যান এক্কেবারে ছিপছিপে
১. কম খেতে হবে
যাঁরা আধুনিক ডায়েট মেনে খান, তাঁরা অনেক সময় কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কম করে দেন বা বন্ধ করে দেন। তাঁদের তেমনই পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু যদি এমন করেন, তাহলে রাতের ঘুম নষ্ট হতে পারে। নিউট্রিশন এক্সপার্ট সীমা পটেল বলেছেন যে শরীরের শক্তির মুখ্য সোর্স হলো কার্বোহাইড্রেট। একটা হেলদি ব্রাউন পাস্তা, ব্রাউন রাইস, এবং হোল মিল ব্রেডের সঙ্গে সবজি কার্বোহাইড্রেটের খেলে ফাইবার শরীরের এনার্জি দেয় এবং রক্তে সুস্থিতি বজায় রাখে। হাই ফাইবারওয়ালা খাদ্য পদার্থের মধ্যে ডাল, ফল, সবজি এবং বাদামের বীজ শামিল রয়েছে।
২. কফি বেশি খেলে সমস্যা
কফি খাওয়ারর অভ্যাস থাকলে এবং প্রতিদিন একাধিক কাপ কফি খেলে সমস্যা হতে পারে। কিছু লোক অত্যন্ত বেশি মাত্রায় কফি খান। যাতে তাঁদের ঘুম নষ্ট হয়। কফিতে থাকা অত্যধিক মাত্রার ক্যাফাইন আমাদের স্লিপিং প্যাটার্ন নষ্ট করে দিতে পারে।
৩. উপোস করা
খাবার না খেয়ে উপোস করাতে শরীরের প্রক্রিয়া বিগড়ে যেতে পারে। আজকাল আমরা অনেক সময় ওজন কম করার জন্য বিভিন্ন রকম ডায়েট প্ল্যান করি। তাতে অনেক সময় আমরা মিল স্কিপ বা রাতে না খাওয়ার পরিকল্পনাও করি। এতে আপনার এতদিনকার খাবারের অভ্যাস এবং শারীরিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয় এবং আপনার শরীর নতুন সিস্টেমে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করে। সেই সময় আপনার ঘুমের প্রক্রিয়া নষ্ট করতে পারে। খিদে পেলে খাওয়া একটা স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া। তাতে শরীরের ক্রিয়া ঠিক থাকে।
আরও পড়ুনঃ Skin Glow At Home: এই ফেসপ্যাক রাতে মুখে লাগান, সকালে গ্ল্যামার ফেটে পড়বে
৪. দুপুরে বেশি খাবার খাওয়া
নিউট্রিশন এক্সপার্ট জানিয়েছেন যে দুপুরে যদি আমরা বেশি খাবার খেয়ে নিই, তাহলে ১-২ ঘন্টা পরে আমাদের ঘুমঘুম ভাব আসে। যা কেটে যাওয়ার পর আর ঘুম আসতে চায় না। যদি আপনি ব্যালেন্স ডায়েট না পান, তাহলে ব্লাড সুগার দ্রুত বাড়তে পারে। এ কারণে সব সময় আমাদের ভোজনের মাত্রা কম রাখা চেষ্টা করতে হবে। প্রসেস করা কার্বোহাইডেট এর বদলে ভাত-রুটির সঙ্গে সবজি এবং প্রোটিন খাবারে শামিল করতে হবে।
৫. জল পর্যাপ্ত না খেলে সমস্যা হতে পারে
জল যদি আমরা ঠিকমত না খাই, কাজের চাপে হোক বা যে কোনও কারণেই হোক জল খাওয়া কম হয়ে গেলে শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দেন নিউট্রিশন এক্সপার্টরা। সারাদিনের কাজে আমাদের শরীর রে প্রচুর জলের দরকার হয়। যদি আমরা জল ঠিকমতো না পান করি, তাহলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় এবং সহজ পাচন ক্রিয়া ব্যাহত হয়। এ কারণে সারাদিন জল বা জলীয় জিনিস খেতে পারি। কিন্তু মদ, অধিক মাত্রায় কফি, মিষ্টি পানীয় পান করলে তা জলের কাজ করে না। জল, দুধ, নারকেলের জল, জুস এগুলি খেতে পারেন।