scorecardresearch
 

Toy Train Restaurant: টয়ট্রনের বাতিল কামরায় এবার লাক্সারি রেস্তোরাঁ, ব্যবস্থা করছে রেল

Toy Train Restaurant: যাঁরা ইচ্ছে আছে কিন্তু টয়ট্রেনে টিকিট বা আসন পেতে ব্যর্থ, বা হাতে সময় কম, তাঁদের জন্য এবার বিকল্প বন্দোবস্ত করছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। এনজেপি স্টেশনে বসেই টয়ট্রেনে চড়ার, বসার সুযোগ পাবেন। সেই সঙ্গে মিলবে মন-পসন্দ মেনু দেখে খানাপিনা। তবে এই ট্রেনটি চলবে না। দাঁড়িয়েই থাকবে। অর্থাৎ এটি একটি রেস্তোরাঁ। কিন্তু কামরার আদল নয়, আসল কামরাকেই রেস্তোরাঁয় বদলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Advertisement
টয়ট্রনের বাতিল কামরায় এবার লাক্সারি রেস্তোরাঁ, ব্যবস্থা করছে রেল টয়ট্রনের বাতিল কামরায় এবার লাক্সারি রেস্তোরাঁ, ব্যবস্থা করছে রেল
হাইলাইটস
  • টয়ট্রেনের বাতিল কামরায় রেস্তোরাঁর উদ্যোগ
  • কামরায় বসেই সারতে পারবেন ভুঁড়িভোজ,
  • ব্যবস্থা করছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল

Toy Train Restaurant: টয়ট্রেনে চেপে দার্জিলিং যাওয়ার আমোদ সকলেরই পছন্দের। কু-ঝিকঝিক টয়ট্রেনে চেপে পাহাড়ি পথের পাকদণ্ডি বেয়ে দার্জিলিং যেতে কে না ভালবাসে? কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। এমনিতে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী ট্রেন সীমিত। তায় আসন সংখ্যাও কম। তার উপর টয়ট্রেনের ভাড়াও চড়া। ফলে সব সময় ইচ্ছে থাকলেও উপায় হয় না। তবে যাঁরা ইচ্ছে আছে কিন্তু রসাস্বাদনে ব্যর্থ, তাঁদের জন্য এবার বিকল্প বন্দোবস্ত করছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। এনজেপি স্টেশনে বসেই টয়ট্রেনে চড়ার, বসার সুযোগ পাবেন। সেই সঙ্গে মিলবে মন-পসন্দ মেনু দেখে খানাপিনা। তবে এই ট্রেনটি চলবে না। দাঁড়িয়েই থাকবে। অর্থাৎ এটি একটি রেস্তোরাঁ। কিন্তু কামরার আদল নয়, আসল কামরাকেই রেস্তোরাঁয় বদলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই এনজেপিকে বিশ্বমানের স্টেশনে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার মডেলও তৈরি করা হয়েছে। সেই উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আকর্ষণ বাড়াতে আসল কামরা নিয়ে রেস্তোরাঁ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর আগে প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সাধারণ ট্রেনের কামরায় রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছিল। এবার এনজেপিতে দ্বিতীয় কোচ রেস্তোরাঁ চালু হচ্ছে টয়ট্রেনের কামরায়।

টয়ট্রেন রেস্তোরাঁ

কী জানাচ্ছেন রেল কর্তারা?

কাটিহারের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার এসকে চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এনজেপিকে বিশ্বমানের গড়ে তোলার প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে টয়ট্রেন কোচ রেস্তোরাঁও তেমনই একটি পদক্ষেপ। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই  কোচ রেস্তোরাঁ চালু হয়ে যাবে বলে তিনি জানান। তাছাড়া টয়ট্রেন হেরিটেজ হওয়ায় এর আকর্ষণ ভিন রাজ্য ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য আরও বেশি হবে।

প্ল্যাটফর্মেই বসানো হবে টয়ট্রেন-রেস্তোরাঁ

এনজেপি জংশনে এখন যে কোচ রেস্তোরাঁটি আছে তা স্টেশন চত্বরে। ফলে যাঁরা স্টেশন থেকে বের না হয়ে কানেক্টিং ট্রেন ধরেন, তাঁরা এই ট্রেনের সুবিধা পান না। তাঁদের কাছে টয়ট্রেন রেস্তোরাঁ বিশেষ সুবিধা দেবে। কারণ এটি প্লাটফর্মেই কোনও একটি জায়গায় খাড়া করা হবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, টয়ট্রেনের কামরায় রেস্তোরাঁটি হবে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ধারে, জিআরপি কার্যালয়ে পাশে। পিপিপি মডেলে রেস্তোরাঁ চালু করার জন্য কিছুদিনের মধ্যে টেন্ডার হবে।

Advertisement

কী কী থাকবে টয়ট্রেন রেস্তোরাঁয়?

রেস্তোরাঁ পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বেসরকারি সংস্থা দায়িত্ব পাবে, তাঁরাই ঠিক করবেন কী কী পাওয়া যাবে। তবে এখন যে কোচ রেস্তোরাঁটি আছে, তাতে ভারতীয় ও চাইনিজ ডিশ পাওয়া যায়। যার খাবারের মান ভালই বলে জানিয়েছেন অনেকে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন টয়ট্রেন রেস্তোরাঁয় ইন্ডিয়ানের পাশাপাশি চাইনিজ খাবারের ডিশ রাখার প্রস্তাব থাকবে। সম্পূর্ণ বাতানুকূল হবে রেস্তোরাঁটি। বসার জায়গাগুলিও টয়ট্রেনের আসল চেয়ারেই হবে। উত্তরবঙ্গ ও পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলির ছবি থাকবে রেস্তোরাঁর দেয়ালে। উদ্যোগ সফল হলে ভবিষ্যতে টয়ট্রেনের বাতিল কোচ ব্যবহার করে পাহাড়ের প্রত্যেকটি স্টেশনে এমন রেস্তোরাঁ খোলা হবে, বলছেন কাটিহারের ডিআরএম।

 

Advertisement