![শিলিগুড়ি থেকে এবার রোপওয়েতে পাহাড়ে](https://akm-img-a-in.tosshub.com/lingo/styles/medium_crop_simple/public/images/story/202301/whatsapp_image_2023-01-21_at_16.49.20.jpeg)
প্রায় শিলিগুড়ি থেকেই এবার রোপওয়েতে পাহাড়ে যাওয়ার সুযোগ মিলবে। সৌজন্যে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA). সমতল থেকে সোজা পাহাড়ে যাওয়া যাবে অল্প কিছুদিনের মধ্য়েই। এর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই রোপওয়ে চালু হলে এবার শিলিগুড়ির গোড়াতেই পর্যটকদের ডেরা তৈরি হবে। যা নিয়ে নতুন দিক উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদী পর্যটন সার্কিট।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর নয়া ঠিকানা, পাহাড়ে বড়মাংওয়া-ই এখন সেরা হোমস্টে?
কোথা থেকে শুরু হবে যাত্রা?
শিলিগুড়ির উপকণ্ঠ রোহিনী এলাকা থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত এই রোপওয়ের যাত্রা পরিকল্পনা করা হয়েছে। রোহিনী ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স থেকে কার্শিয়াংয়ের গিদ্দাপাহাড় পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার পথ এ বার থেকে রোপওয়েতে যাওয়া যাবে ৷ জিটিএ-র পর্যটন বিভাগ ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। জিটিএ-র তরফে এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ আশা করা হচ্ছে আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে। ২০২৪ এর পুজোর মরশুমের আগে তারা এটি পর্যটকদের জন্য চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুবিধা কী কী হবে?
একে তো পর্যটনের নতুন দিশা তৈরি হবে। অন্যদিকে খুব কম সময়ে শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং পৌঁছে যাওয়া যাবে। এমনিতে শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং সড়কপথে গাড়িতে যেতে সময় লাগে ১ ঘন্টা। টয়ট্রেনে ৩ ঘন্টার মতো। এটি চালু হলে আধ ঘন্টার মধ্যে কার্শিয়াং পৌঁছনো যাবে। এতে কার্শিয়াং মোটর স্ট্যান্ডের গুরুত্ব বাড়বে। অনেকেই রোহিনী থেকে রোপওয়েতে কার্শিয়াং পৌঁছে সেখান থেকে টয়ট্রেন বা গাড়িতে দার্জিলিং রওনা হবেন। পাশাপাশি বিকল্প যোগাযোগ তো হলই। রোহিনীতে থাকার জন্য হোটেল-হোমস্টেও তৈরি হবে।
আরও পড়ুনঃ ভূতের ভয়-গা ছমছমে পরিবেশে রাত কাটানোর সুযোগ; উত্তরবঙ্গের মরগ্যান হাউসে গিয়েছেন ?
জনপ্রিয় হচ্ছে রোহিনী
এমনিতেই বিগত কিছু বছর ধরে রোহিনী লেক পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই লেকে শিকারা ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়েছে। বাইরের পর্যটকের পাশাপাশি শিলিগুড়ি ও আশপাশের লোকজনও গিয়ে দিনভর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এলাকা। ফলে রোহিনীর গুরুত্ব বেড়েছে পাহাড়ের মানচিত্রে।
কাজ শুরু হয়েও বন্ধ হয়ে যায়
১৯৬৮ সালে দার্জিলিংয়ের সিংমারিতে এই এলাকার প্রথম রোপওয়ে চালু হয়েছিল। ২০০৩ সালে সিকিমের গ্যাংটকেও চালু হয় রোপওয়ে। তবে কার্শিয়াংয়ে গিদ্দাপাহাড় থেকে রোহিণী পর্যন্ত এই রোপওয়েরটি পরিকল্পনা করা হয়েছিল বেশ কিছু বছর আগে। রোপওয়েটির কাজ ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল। ২০১৬-তেই তা চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝে পাহাড়ে অশান্তি শুরু হওয়া সহ নানা কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে ফের রোপওয়ে তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।