একের পর এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকছে বিশ্ববাসী। গত ২৬ মে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে। ১০ জুন হয়েছে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। এ বার বছরের শেষ সুপারমুনের সাক্ষী থাকতে প্রস্তুত হোন। আগামী ২৪ জুন রাতে এই মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে পারেন আপনিও। এ দিন চাঁদকে স্ট্রবেরি-র মতো লাল দেখাবে। তাই দৃশ্যকে এই নামে অভিহিত করা হয়।
সুপারমুন কী?
প্রথমে জেনে নিন সুপারমুন কী? চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসে, তখন দেখতে প্রায় ১২ শতাংশ বড় লাগে। সাধারণত পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ৪ লক্ষ ১০ হাজার কিলোমিটারের আশপাশে থাকে। কিন্তু সুপারমুনের ক্ষেত্রে এই দূরত্ব কমে ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটারে চলে আসে। সে জন্যই একে সুপারমুন বলা হয়। চাঁদ পৃথিবার চারদিকে ডিম্বাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। কক্ষের মাঝামাঝি চলে এলে চাঁদের দূরত্ব কমে যায়। তখন চাঁদ বড় দেখায়।
প্রদক্ষিণ করার সময় সূর্য এবং চাঁদের মাঝে যখন পৃথিবী চলে আসে, তখন তার ছায়া গিয়ে পড়ে চাঁদের উপর। সে কারণে চন্দ্রগ্রহণ হয়। অনেক সময় সেই ছাড়া আংশিক ভাবে চাঁদের উপর পড়ে, তখন হয় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। কখনও ছায়ায় পুরো ঢেকে যায় চাঁদ, তখন হয় চাঁদের পূর্ণ গ্রহণ।
স্ট্রবেরি মুন কেন দেখা যায়?
চাঁদ যখন পৃথিবীর ছায়ায় পুরোপুরি ঢেকে যায় তখন সূর্যের সাত রঙে থাকা লাল রঙের তরঙ্গ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৌঁছে যায় চাঁদে। তাই পূর্ণ গ্রহণের সময় অনেক বারই চাঁদকে লাল রঙের দেখতে লাগে। রায়ুমণ্ডলের কারণেই খানিকটা সরলরেখা পরবর্তন করে লাল রশ্মি গিয়ে লাগে চাঁদের গায়ে। সে কারণেই এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। তবে এ দিন গ্রহণ না থাকলেও এই দৃশ্য দেখা যাবে।
কখন দেখা যাবে?
রাত ১১টা ১৫ মিনিটে এই দৃশ্য দেখা যাবে। চলবে রাত ২টো ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। ভারত থেকে এ দৃশ্য দেখার সম্ভাবনা কম, কারণ ওই দিন চন্দ্রোদয় হবে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। যত ক্ষণে চাঁদ মধ্য গগনে উঠবে। তত ক্ষণে এই দৃশ্য শেষ হয়ে যাবে।