scorecardresearch
 

Lakshmi Bhandar Scheme: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাজার টাকা এপ্রিল থেকেই, আপনার নাম আছে তো? আবেদনের সঠিক পদ্ধতি রইল

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত মহিলাদের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের চালু করা এমনই একটি স্কিম হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। এর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি মহিলা উপকৃত হন। সম্প্রতি পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হয়েছে।

Advertisement
অনলাইন-অফলাইন এভাবে আবেদন করুন অনলাইন-অফলাইন এভাবে আবেদন করুন

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার  পর থেকে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত মহিলাদের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের চালু করা এমনই একটি স্কিম হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। এর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি  মহিলা উপকৃত হন। সম্প্রতি পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হয়েছে।

২০২৪-২৫ বর্ষের বাজেট পেশ করার সময়ই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । এতদিন অবধি এই প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পেতেন। তবে এবারের বাজেটে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মার্চ মাসের শুরুতেই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। এপ্রিল মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। ভাতা বৃদ্ধির ফলে এবার সাধারণ শ্রেণির মহিলারা ৫০০ টাকার বদলে প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। একইরকমভাবে তপশিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলাদের ভাতার অঙ্কও বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। ১০০০ টাকার পরিবর্তে এবার মাসিক ১২০০ টাকা করে পাবেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। মূলত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প যে সময়ে চালু হয় সেই সময় বয়সের বাধ্যবাধকতা ছিল পঁচিশ থেকে ষাট বছর। মমতা জানিয়ে দিয়েছেন এবার থেকে , ষাট বছর পার করার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপকরা বার্ধক্য ভাতার আওতায় চলে আসবেন। ফলে তাঁরা ২০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন।  পাশাপাশি  পরিবারে যতজন মহিলাই থাকুন না কেন তাঁরা যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার সমস্ত শর্ত পূরণ করেন সেক্ষেত্রে প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩০ জুলাই ২০২১ সালে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন। যাতে রাজ্যের প্রত্যেকটি পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা সদস্যদের জন্য মাসিক ন্যুন্যতম আর্থিক সহায়তা প্রদান করা যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম তোলার জন্য আগে দুয়ারে সরকার কর্মসূর্চির জন্য মহিলাদের অপেক্ষা করতে হতো। তবে এখন সারা বছরই এই প্রকল্পে নাম তোলা যায়।  প্রয়োজনীয় নথি সহ আবেদনপত্র জমা দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নতুন করে নাম তোলা যায়।

কীভাবে নাম তুলবেন?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেশির ভাগ প্রকল্পেই অনলাইন এবং অফলাইন দুই রকম ভাবেই আবেদন করা যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সময়ে নানা জায়গায় আয়োজন করা হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবিরের। কেউ যদি অফলাইনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে চান, তা হলে তাঁকে দুয়ারে সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্পে যেতে হবে যেতে হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্পেন থেকে আবেদনকারীকে একটি অ্যাকটিভ ইউনিক নম্বর ফর্ম দেওয়া হবে। এ বার সেই ইউনিক ফর্মটি ফিল আপ করে উল্লিখিত নথি সমেত আবেদনপত্রে কপি সেই ক্যাম্পেই জমা করতে হবে। অনলাইনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে এক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্টারনেট পরিষেবা থাকা প্রয়োজন। এর জন্য প্রথমে গুগল ক্রমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লিখলেই সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েবসাইটিটি চলে আসবে। তা সত্ত্বেও কেউ যদি সরাসরি ওয়েবসাইটেই ঢুকতে চান, তা হলে এই https://wb.gov.in/  লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন।  এ ছাড়া কেউ আবার সরাসরি পি ডি এফ ফরম্যাটে ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ডাউনলোড করার জন্য  https://drive.google.com/file/d/1e_5Bn9elgSg79nUk_RelQgRR8RQG8DSn/view  লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন। এই  ফর্মটির একটি প্রিন্ট আউট বের করে সঠিক তথ্য দিয়ে তা পূরণ করতে হবে। যেখানে ছবি লাগানোর জন্য বক্স চিহ্নিত করা আছে, সেখানে আবেদনকারীর ছবি লাগাতে হবে।  তার পর প্রয়োজনীয় নথি সমেত আবেদনের পত্রটি জমা করতে হবে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস কিংবা ওয়ার্ডে। এখানেই শেষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করার পদ্ধতি।

কী কী নথি জমা দিতে হবে সুবিধা পাওয়ার জন্য?
লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু নথি জমা দিতে হবে আবেদনকারীকে। আবেদনকারীর আধার কার্ডের ফোটো কপি লাগবে।  আবেদনকারীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা বাঞ্ছনীয়। তাই আবেদনকারীকে সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ফোটো কপি জমা করতে হবে। আবেদনকারীর আবেদনপত্র যাচাই করে তা নির্বাচিত হলে অনুদানের টাকা মাসে মাসে সরাসরি পৌঁছে যাবে আবেদনকারীর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। তাই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য জমা করতে হবে আবেদনকারীকে। সেই কারণে ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পাতার ফোটো কপি জমা করলেও হবে। আবেদনকারীর পরিচয়ের প্রমাণ স্বরূপ নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গেই আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর লিখে দেওয়া বাধ্যতামূলক।

অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে বুঝবেন যেভাবে?
 লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmi Bhandar Scheme) প্রাপকদের তালিকায় আপনার নাম আছে কী-না বা এই প্রকল্পের টাকা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে কী-না  তা অনলাইনে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কয়েকটি সহজ ধাপে জেনে নেওয়া যায়।  এর জন্য প্রথমে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmi Bhandar Scheme) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অর্থাৎ socialsecurity.wb.gov.in-এ গিয়ে প্রাপকরা নিজেদের আবেদনের স্থিতি এবং অর্থপ্রদানের স্থিতি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, একজন মহিলা যিনি এই রাজ্যের বাসিন্দা, বয়স ২৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং সরকারি কর্মচারি নন, তিনি এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য যোগ্য। তাই socialsecurity.wb.gov.in-এ গিয়ে আবেদনের স্থিতি দেখার পাশাপাশি দুয়ারে সরকার' (Duare Sarkar) ক্যাম্পে গিয়েও এ বিষয়ে তথ্য পেতে পারেন। 

Advertisement

Advertisement