নিশীথের দূর্গে ফাটল
দিনহাটার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। আর দাঁড়াবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সাংসদ পথ ধরে রাখার দলীয় নির্দেশ পালন করছেন। ফলে দিনহাটায় বিধানসভা উপনির্বাচন হবে। তবে তার আগেই যে তৃণমূলের হাত এভাবে নিজের গড়ে শক্ত হবে তা হয়তো নিজেও বুঝতে পারেননি নিশীথবাবু নিজেও। তার খাস তালুকে বিজেপি ভেঙে তৃণমূলে যোগ দিলেন ভেটাগুড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ পঞ্চায়েত সদস্য।
পঞ্চায়েত দখল সময়ের অপেক্ষা!
ফলে তৃণমূলের জন্য ওই পঞ্চায়েত দখল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ ইতিমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি। ফলে শীঘ্রই অনাস্থা আনতে পারে তৃণমূল বলে জানা গিয়েছে। দিনহাটার দুটি ব্লকের মোট ৩৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র ভেটাগুড়ি এক নম্বর পঞ্চায়েতের বিজেপির দখলে ছিল। এই দলবদল এর ফলে সেটিও এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে ডুবে গেল।
কে কে যোগ দিলেন তৃণমূলে!
উদয়ন গুহ-র হাত ধরে ভেটাগুড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে ১০ সদস্যের গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫। যতীন্দ্র নাথ বর্মন, ববিতা মন্ডল, সোমা বর্মন এবং ময়না ঘোষ বিজেপি থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন। এর আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সোহরাব আলি মিয়া প্রথম থেকেই তৃণমূলে রয়েছেন।
উদয়নের দাবি
উদয়নবাবু জানান, এই সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের ছিল। তাঁদের জোর করে বিজেপিতে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারা এদিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে আরও কয়েকজন সদস্য, শুধুমাত্র এই গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়, আরও কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসতে চাইছেন।
নিশীথের পাল্টা দাবি
যে এলাকায় দলবদল হয়েছে সেই এলাকাতেই সংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি। তিনি অবশ্য এটি জোর করে দলবদল বলে দাবি করেছেন। এর আগে বিজেপির পাল্লা ভারী মনে করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন এই সদস্যরা। পরের রাজ্য তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরতে ফের দলে দলে বিজেপিতে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন প্রচুর মানুষ।