scorecardresearch
 

শীতলকুচি গুলি কাণ্ড : ঘটনার পুনর্নির্মান করাল সিআইডি

চার যুবকের গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্তে শীতলকুচিতে পৌঁছলেন সিআইডি আধিকারিকরা। একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবা করা হয় কয়েক দফায়।  ঘটনার পুনর্নির্মান করানো হয়। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও ডাকা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement
শীতলকুচির বিতর্কিত বুথ শীতলকুচির বিতর্কিত বুথ
হাইলাইটস
  • ঘটনার পুনর্নির্মান করানো হয়
  • কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ফের ডাকা হবে
  • তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে দাবি ডিআইজির

চার যুবকের গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্তে শীতলকুচিতে পৌঁছলেন সিআইডি আধিকারিকরা। 

ঘটনার প্রেক্ষাপট

শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথে নির্বাচনের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনা রাজ্যে রাজনীতিকে তোলপাড় করে তোলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতেই ওই চার যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে স্থানীয় এলাকা থেকে রাজ্য হয়ে গোটা দেশ। এই ঘটনার উপর নির্ভর করে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের গতি প্রকৃতি নির্ধারিত হয়ে যায়।

সিআইডির ঘটনার পুনর্নির্মান

এদিন তদন্তে নেমে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলেন ঘটনার তদন্তকারী সিআইডি আধিকারিকরা। সোমবার সকালে ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল তদন্তে নেমে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন। উপস্থিত বেশ কয়েকজনকে সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  নূর মোহাম্মদ হোসেন, মুর্তাজা মিয়াঁ,সফিউদ্দিন মিয়াঁ, লাবু হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাথাভাঙ্গা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।  ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের দিয়ে মৃতদেহ পড়ে থাকার অবস্থান চিহ্নিত করানো হয়েছে।

দু ঘন্টার বেশি চলে তদন্ত

প্রায় দু ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ ও পুনর্নির্মাণের কাজ। পরে শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথ যেখানে সেই জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আমতলি এমএসকে সেন্টারে বাকিদের বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময় গোটা এমএসকে সেন্টার পুলিশ দিয়ে ঘির রাখা হয়। সেখানে সিআইডি আধিকারিকরা ছাড়াও মাথাভাঙ্গা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল, মাথাভাঙ্গা থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকাররা উপস্থিত ছিলেন।

ডিআইজি সিআইডির দাবি

তদন্তের পরে ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করতে এদিন চার সদস্যের একটি দল এসেছে। তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব হবে না বলে তিনি জানান। অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের প্রয়োজনে ফের ডাকা হবে বলে জানান ডিআইজি।

Advertisement

যত কাণ্ড শীতলকুচিতে

১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহারের ৯ বিধানসভা কেন্দ্র সহ রাজ্যের ৪৪ টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। ওই দিন শীতলকুচি বিধানসভার জোরপাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথাভাঙ্গায় এসে নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করে ওই ঘটনার সিআইডি তদন্ত করার আশ্বাস দিয়ে যান। এরপর ক্ষমতায় ফিরেই সিআইডিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় তৎকালীন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে ভাবনী ভবনে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানদের ডাকা হলেও তাঁরা হাজিরা দিতে আসেননি বলে জানা গিয়েছে।

 

Advertisement