শিলিগুড়িতে মিউকরমাইকোসিস-এ মৃত্যু হল আরও এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম ওঙ্কার নাথ চৌধুরী। তিনি শিলিগুড়ির মিলন মোড় এলাকার বাসিন্দা। এই নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গে একই রোগো আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তিন জনের।
সব মিলিয়ে মিউকরমাইকোসিসে উত্তরবঙ্গে মৃতের সংখ্যা ৫
ইতিমধ্যে কলকাতার পর উত্তরবঙ্গে বুধবারই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার। তার আগে আরও একজন ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল। তখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। যদিও পর সেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে তাঁরা জানিয়েছে মৃত্যুর কারণ মিউকরমাইকোসিসই।
মৃত ব্যক্তি ইএনটি-তে ভর্তি ছিলেন
বুধবার ভোর রাতে আবারও মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল শিলিগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত মিলন মোড় এলাকার এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তি শিলিগুড়ি চম্পাসারি এলাকায় মিলন মোড়ের বাসিন্দা নাম ওঙ্কার নাথ চৌধুরী। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর , ইএনটি বিভাগে ভেন্টিলেটর থাকাকালীন মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগে করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। গত ২০ মে থেকে শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শ্বাসজনিত সমস্যা থাকায় ২৪ ঘণ্টা ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে । এরপর ২৫ মে নতুন করে মিউকরমাইকোসিসে সংক্রমিত হলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন।
মেডিক্যাল কলেজে নেওয়া যায়নি বলে অভিযোগ
কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী একাধিকবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ওঙ্কারনাথ চৌধুরাীকে স্থানান্তরিত করা যায়নি।
পরিবারের দাবি
ওঙ্কারনাথ চৌধুরীর মেয়ে তুশালি চৌধুরী বলেন, " বাবাকে মেডিকেলে ভর্তি করার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা ছুটোছুটি করছিলাম । কিন্তু আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বেড না থাকায় বাবাকে ভর্তি নেওয়া যাচ্ছে না । এমনকী আমরা মেডিকেলে ভর্তি করানোর জন্য শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসকের কাছে গিয়েছিলাম । কিন্তু তারাও কোনও সাহায্য করেননি । এরপর ২ জুন বেড খালি হলে বাবাকে নার্সিংহোম থেকে মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু মাঝ রাতেই বাবা মারা যান। যদি আগে মেডিকেলে বাবাকে স্থানান্তরিত করা যেত তাহলে বাবার প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত।"
ডিন-এর দাবি
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, মিউকরমাইকোসিসে একজন মারা গিয়েছে বলে শুনেছি তবে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।