ঘর ভাঙ্গানোতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল তৃণমূল। এবার তাদের উচ্চাকাঙ্খার শিকার কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর সীমা সাহা এবং জেলার প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা সীমা দেবীর স্বামী জয়ন্ত ওরফে যতন সাহা।
তৃণমূলে যোগ
শনিবার রাতে তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের হাত ধরে তারা দলীয় পতাকা তুলে নেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নির্ণয় রায় সহ অন্যরা।
সীমা ও জয়ন্ত দম্পতির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার
সীমাদেবী বিগত ১০ বছর ধরে কংগ্রেস থেকে জিতে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রয়েছেন। তার আগে তার স্বামী জয়ন্ত বাবু কাউন্সিলর ছিলেন। প্রভাবশালী নেতা হিসেবে শহরে পরিচিত জয়ন্ত বাবু প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শংকর মালাকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ফলে তাদের তৃণমূলে যোগদান কংগ্রেসের মেরুদন্ড এই জেলাতে অনেকটাই ভেঙে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
ডাবল ইঞ্জিনের আশায় সীমা সাহা
তৃণমূলে যোগ দিয়ে সীমাদেবী বিজেপির বিধানসভার ভোট চাওয়ার ঢঙেই ডবল ইঞ্জিন বোর্ডের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছেন। শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ভোট হলে এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। তাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কংগ্রেসের বক্তব্য
প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক সুজয় ঘটক জানিয়েছেন, যে দল পরিচিতি দিয়েছে, সেই দলকে খারাপ সময় ছাড়া উচিত নয়। এখন কংগ্রেসের খারাপ সময়। তবে সুদিন ফিরবে। এটা ওঁদের ভুল সিদ্ধান্ত।
তৃণমূল উবাচ
অন্যদিকে কংগ্রেস কাউন্সিলর সীমাদেবীর কাজের অন্যতম সমালোচক ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। তিনি বিদায়ী পুরবোর্ডের বিরোধী দলনেতা ছিলেন। বারবার পুর নিগমের কাজের নিরিখে সীমাদেবীর ওয়ার্ডকে গত পাঁচ বছরে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন গৌতম দেব থেকে ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্ণয় রায়ও। গৌতম বাবুরা বার বার কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানালেও এদিন দলে যোগ দান করিয়ে জয়ন্ত বাবুদের সম্পদ বলে বর্ণনা করেছেন। তাদের যোগদানের দল শক্তিশালী হবে বলে ঘোষণা করেন গৌতম দেব।