scorecardresearch
 

বরাত নেই, শিলিগুড়ি বন্ধ গ্যাস সিলিন্ডার তৈরির কারখানা

কারখানায় বরাত নেই, গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধুঁকছে কারখানা। বরাতের পরিমাণ কমতে কমতে অর্ধেকের কম হয়ে গিয়েছে। ফলে টানতে না পেরে কারখানা বন্ধ করে দিল কর্তৃপক্ষ। ফলে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কায় দুশো কর্মীর পরিবার।

Advertisement
বন্ধ সিলিন্ডার কারখানার বোর্ড বন্ধ সিলিন্ডার কারখানার বোর্ড
হাইলাইটস
  • বেকার দুশো কর্মী, বিপাকে পরিবার
  • বেতন না পেলে আন্দোলনে নামার হুমকি
  • বরাত নেই, খরচ উঠছে না, দাবি কারখানার

কারখানায় বরাত নেই, গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধুঁকছে কারখানা। বরাতের পরিমাণ কমতে কমতে অর্ধেকের কম হয়ে গিয়েছে। ফলে টানতে না পেরে কারখানা বন্ধ করে দিল কর্তৃপক্ষ। ফলে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কায় দুশো কর্মীর পরিবার।

সিলিণ্ডার তৈরির কারখানায় করোনার পরোক্ষ প্রভাব

বন্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ির কাছে হলদিয়া গ্যাস সিলিন্ডার তৈরির কারখানা। কর্মহীন হতে চলেছে প্রায় দুশো শ্রমিকের পরিবার। রাজ্যের শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যা'-র পাশে এই হলদিয়া রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার তৈরির কারখানা বন্ধ হওয়ায় অনৈতিকতার অভিযোগ তুলছে কর্মীরা। কারও সঙ্গে কিছু আলোচনা না করে, এতগুলো কর্মীর কথা চিন্তা না করে এ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া উচিত হয়নি বলে মনে করছেন তাঁরা। দীর্ঘ ৩০ বছরের পুরোনো এই কারখানা উত্তরবঙ্গের মধ্যে অন্যতম।

দুশো কর্মীর রুটি রুজি জড়িয়ে কারখানার সঙ্গে

এখানে কারখানার জন্মলগ্ন থেকেই আজ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক স্থায়ী, অস্থায়ী কর্মী কাজ করেন ।
একাধিকবার এই কারখানার বন্ধের মুখে পড়তে হয়েছিল শ্রমিকদের। এবার আবারও একবার কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। এই কোম্পানি আর চালাতে পারছেন না বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। অন্যদিকে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ হারাবে। ফলে মাথায় হাত এই মুহূর্তে কর্মরত শ্রমিকদের। শনিবার বিক্ষোভ ফেটে পড়েন শতাধিক কর্মরত শ্রমিকরা।

বিক্ষুব্ধ কর্মীরা, ইউনিয়নের অধীনে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি

কারখানার ভিতরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অবিলম্বে কারখানাকে পুনরায় আগের মতনই সচল রাখতে হবে এই দাবি তোলেন শ্রমিক নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসি সভাপতি ইয়ানুল হক মুন্সি এবং শ্রমিক ইউনিয়নের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বিরাজ মহন্ত। অবিলম্বে কারখানার সচল না করলে আইএনটিটিইউসি শ্রমিক নেতা মিজানুল হকের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকরা। অবিলম্বে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা।

Advertisement

কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি

কারখানার তরফে কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার দেবলীল সিংহ রায় জানিয়েছেন, স্বাভাবিক অবস্থায় কারখানায় মাসে তিরিশ থেকে চল্লিশ হাজার টি সিলিন্ডার তৈরি হতো। গত বছর করোনায় লক ডাউন হয়ে যাওয়ার পর থেকে বরাতে টান পড়েছে। আনলক পর্যায়ে কারখানা খোলা হলেও বরাত সেভাবে মিলছিল না। সরকারি বরাত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি শেষ কয়েক মাসে আট হাজারেরও কম প্রোডাকশন হচ্ছে কারখানায়। যাতে খরচ ওঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেই জায়গা থেকেই কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিক। এখন মালিকের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

 

 

Advertisement