''নিয়তি যদি ডাকে, কে তাহলে রোকে''?
নিয়তির ডাক
করোনা আবহে ঘর থেকে বের হননি। বাড়িতেই রাতের কাজ কর্ম সারছিলেন। কে জানত ঘরের ভিতরেই পৌঁছে যাবে শমন! আস্ত যমদূত এসে এ ভাবে ঘর থেকে বের করে টেনে নিয়ে যাবে, তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি ফাঁসিদেওয়ার দেবংগছের ঢাকেশ্বরী সিংহ ও আশপাশের আরও দুটি পরিবার। মালবাহী গাড়ি ঘরে ঢুকে তছনছ করে দিল তিনটি পরিবার। ঢাকেশ্বরীকে ঘরে থাকার মূল্য চোকাতে হল জীবন দিয়ে।
ঘটনাটি আসলে কি ঘটেছিল?
শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের দেবংগছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা পর পর তিনটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে একটি মাল বোঝাই গাড়ি। এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। মৃতার নাম ঢাঢশ্বরী সিংহ (৫৫)। ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শেষমেষ ঘটনাস্থলে ফাঁসিদেওয়া থানার বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গাড়ির তেল শেষ হয়ে হয় বিপত্তি
জানা গিয়েছে যে, শনিবার রাতে বেদংগছ এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি চকোলেট বোঝাই গাড়ির তেল শেষ হয়ে যায়। এরপর চালক গাড়ি থামিয়ে তেলের খোঁজে যান।
কীভাবে গাড়ি ঢুকে এল বাড়িতে
আরেক জন চালক ওই সময় গাড়িটিকে স্টার্ট করার চেষ্টা করে। এর পরেই আচমকাই গাড়িটি স্টার্ট হয়ে যায়। সহকারী চালকের সম্ভবত অভিজ্ঞতা কম থাকায় তিনি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নি। বহু চেষ্টা করেও গাড়িটিকে বাগে আনতে না পারায় এবং নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় গাড়িটি রাস্তার পাশে বেড়ার তৈরি কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ঢুকে যায়। একটি বাড়িতে ঢুকেও নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় পরপর তিনটি বাড়ি ভেঙে যায়। এর মধ্যেই একটি বাড়িতে ছিলেন মৃতা ঢাঢশ্বরী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিধাননগর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
গ্রেফতার চালক, আটক গাড়ি
ওই গাড়ি ও গাড়ির চালককে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। যদিও মৃত মহিলার পরিবারের তরফে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। অপর দিকে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর থানার পুলিশ।