মে মাসে আচমকা কুয়াশা
সোমবার সকালে আচমকা কুয়াশায় ঢাকলো ধুপগুড়ি। দৃশ্যমানতা এতটাই কমে যায় যে কয়েক হাত দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না। পরে বেলা বাড়তে কুয়াশা কাটলেও মেঘ সরেনি। শেষ তিন দিন ধরে রোদ ওঠেনি উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতে। এমন আবহাওয়া থাকবে অন্তত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বলে আবহাওয়াবিদদের দাবি।
ঘুম ভাঙতেই আঁধার ধুপগুড়িতে
মে মাসের মাঝামাঝি। বৈশাখের প্রায় শেষ। এই সময়ে কুয়াশা? তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তাঁরা। ফলে দৌড়ে গিয়ে ক্যালেন্ডার দেখেছেন কেউ কেউ। পরে ভুল হয়নি বুঝতে পেরে বিস্ময়ে চোখ ছানা বড়া হয়েছে। ভরা গ্রীষ্মে এমন কুয়াশা শেষ কবে দেখেছে উত্তরবঙ্গের মানুষ পরিষ্কার করে কেউ বলতে পারেননি।
দৃশ্যমানতা তলানিতে
কুয়াশা এতটাই গাঢ় ছিল যে কয়েক হাত দূরের জিনিসও চোখে পড়ে না। দৃশ্যমানতার অভাবে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়কে গাড়ি চলাচলেও সমস্যা দেখা দেয়। বেলার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আপাতত এই কুয়াশার কারণ খুঁজতে শুরু করেছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
কারণ নিয়ে জল্পনা
অনেকে আবার মনে করছেন, গত বছরের লক ডাউনের পর দূষণ কমে যাওয়ার ফলে এই পরিস্থিতি। যদিও উত্তরের আবহাওয়াবিদ মধুসূদন কর্মকার জানিয়েছেন, এমনটা সাধারণত এই সময় না ঘটলেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাঁর ব্যাখ্যা, মূলত নদী, খাল বিল, পুকুরের জলের চেয়ে আশপাশের ভূ তল বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কুয়াশা সৃষ্টি হয়। এ কারণে নদী তীরবর্তী এলাকায় পড়ন্ত বিকেলে কুয়াশা দেখা যায়। ধুপগুড়ি এলাকাতেও তাপমাত্রা আচমকা কমে যাওয়ায় নদীর জল অত দ্রুত পাল্লা দিয়ে ঠাণ্ডা হতে পারেনি। ফলে কুয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। আস্তে আস্তে জলও সম পরিমাণ ঠাণ্ডা হতে শুরু করলে কুয়াশা সরে যায়।
এমন কুয়াশা সত্তর বছরে কেউ দেখেননি বলে দাবি
ধূপগুড়িতে সহ উত্তরবঙ্গে গরমের সময় এ ধরনের কুয়াশা আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানয়েছেন এলাকাবাসী। অনেকেই বাইরে বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে গিয়েছিলেন। তবে এমনও হতে পারে এলাকায় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি ছিল। দূষণ অনেকটাই কমে আসায় আচমকাই কুয়াশা হয়েছে।
উত্তরের আবহাওয়া
উত্তরের আবহাওয়ায় মেঘলা ভাব কয়েকদিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে এই তাপমাত্রার নিম্নগতি ও মেঘলা পরিবেশ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মধুসূদনবাবু। কোথাও কোথাও ঝড় বৃষ্টি হতে পারে।