রাজ্যভাগ হওয়া উচিত দাবি বিজেপি সম্পাদকের
মানুষের ভালোর জন্য রাজ্যভাগ হওয়া উচিত। বিজেপির একাধিক নেতা-বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পৃথক রাজ্যের সমর্থনে নিজের সমর্থন জানিয়ে রাখলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বসু।
এক রাজ্যের দাবিকারীদের রক্তচাপ বৃদ্ধি
ঘুরিয়ে হলেও রাজ্যভাগকে স্বাগত জানালেন রথীনবাবু। কদিন ধরেই আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার তোলা দাবির সঙ্গে একই দাবিতে সুর মিলিয়ে রাজনীতির আঙিনা গরম করে রেখেছেন বিজেপি নেতারা। সেই সঙ্গে পাল্টা উত্তর দিতে গিয়ে তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএম নেতারা আরও উত্তপ্ত করে ফেলেছেন পরিস্থিতি। সবচেয়ে সরব রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলই। এবার তাদের রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে শিলিগুড়িতে বসে ফের একই দাবি তুলে দিলেন রথীন্দ্রবাবু।
ব্যক্তিগত মত রথীনের !
এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, "যদি মানুষের কল্যাণের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে রাজ্য ভাগ হওয়া উচিৎ। যদিও দল এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।" তবে দল সিদ্ধান্ত না নিলেও তিনি যে নিজের স্ট্যান্ডে প্রস্তুত, তা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে ধরি মাছ, না ছুঁই পানি পরিস্থিতিতে তিনি বিষয়টিকে ঝুলিয়ে দিলেন।
দাবি তুলে জল মাপছে বিজেপি?
উত্তরবঙ্গ পৃথক রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হোক এই দাবি তুলে কদিন ধরে রাজ্য রাজনীতি গরম করে রেখেছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা। তাঁর দাবি পৌঁছে গিয়েছে দিল্লিতেও। বিজেপি নেতারা এবং কেন্দ্র সরকার জল মাপতে শুরু করেছে। এরপরে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় উত্তেজনা। কেউ কেউ জনসমর্থন হারানোর ভয়ে চুপ থাকলেও কেউ কেউ সরাসরি রাখঢাক না করেই আলাদা উত্তরবঙ্গের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন।
দলের ঘোষিত নীতির বিরুদ্ধাচরণ কেন?
এবার ফের ঘুরিয়ে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন জানালো বিজেপির সাধারন সম্পাদক রথীন বসু। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সম্পাদক সায়ন্তন বসু এর আগে অবশ্য পৃথক রাজ্যের দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও একের পর এক বিধায়ক ও সাংসদরা পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। অবশেষে এই বিতর্ক ওড়াতে দলের সিদ্ধান্তকে মেনে চলার নির্দেশ দেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে দিলীপ ঘোষের এই হুইপের পরও রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।