scorecardresearch
 

টিকে থাকতে তৃণমূলকে দরকার গুরুংয়ের, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক দাবি

বিমল গুরুং জানিয়ে দিয়েছেন কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে, লকডাউন উঠে গেলে পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন। নির্বাচনে ভরাডুবির পর পাহাড়ে তার গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে তা পরিষ্কার। তবে কোন অঙ্কে তৃণমূল প্রশ্রয় দিচ্ছে বিমলকে? উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement
পাহাড়ের রাশ থাকবে কী বিমলের হাতে? পাহাড়ের রাশ থাকবে কী বিমলের হাতে?
হাইলাইটস
  • মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চান গুরুং
  • বিমলের রাজনৈতিক অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে
  • তৃণমূল হাত ছাড়লে বিপদের আশঙ্কা

বিধানসভা নির্বাচনে একক ক্ষমতায় দাঁড়িয়ে ভরাডুবির সম্মুখীন হতে হয়েছে। একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিমল গুরুংয়ের প্রতিপত্তি যে পাহাড়ে তলানিতে ঠেকেছে তা বুঝতে আর বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। শেষ মুহূর্তে তৃণমূলকে প্রকাশ্যে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে গুরুংয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বন্দনা করে বৈঠকের ঘোষণা

এই পরিস্থিতিতে বিমলের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন কী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। নির্বাচনের পর বিমল বিমল বিরোধী নেতাদের নিয়ে একটা শব্দ খরচ করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপি থেকে যেখানে পুরনো নেতাদের ঘরওয়াপসি চলছে। সেই মুহূর্ত পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি কোনও নেতাই। দার্জিলিং জেলা বা সমতলের নেতারা দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ ছাড়া একটা শব্দও বলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এমন অবস্থায় আগ বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে চান বিমল গুরুং। নিজেই এ কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে বৈঠক দাবি

বিমল গুরুং জানিয়ে দিয়েছেন কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে, লকডাউন উঠে গেলে পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলাম। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তিনি তৃণমূল কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ওপর রাখা আস্থার কতটা ফেরত দিতে পেরেছেন, তা নিয়ে অবশ্য 'স্পিকটি নট' পাহাড়ে জমি হারানো বিমল দাজু।

এখনও বহু মামলা রয়েছে বিমলের মাথায়

বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে এখনও বহু মামলা রয়েছে। যা ২০১৭ সালের ধারাবাহিক হিংসার সময় তার বিরুদ্ধে লাগু হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিককে খুনের মামলাও রয়েছে। কিছু কিছু মামলায় অব্যাহতি মিললেও বহু মামলা এখনও মাথার উপর খাঁড়া হয়ে ঝুলছে।

তৃণমূল ভাঙানোই কি কাল হলো বিনয় তামাংয়ের

Advertisement

তবে নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিনয় তামাং গোষ্ঠীরর বিরুদ্ধে তৃণমূল ভাঙ্গানোর অভিযোগ এনেছিলেন পাহাড়ের তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রী, লালবাহাদুর রাইরা। যা ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল হাইকম্যান্ড। তার ভিত্তিতেই বিনয় তামাং এর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত নন রাজনৈতিক মহল।

বিমলকে সঙ্গে রেখে তৃণমূলের লাভ কতটা

তবে বিমল গুরুংকে সঙ্গী করে তৃণমূলের রাজনৈতিক লাভ কতটুকু হবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে একগাদা। যদিও এখনও প্রকাশ্যে কাউকে সমর্থন বা সমর্থন প্রত্যাহারের মতো কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার বা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বিমল গুরুংয়ের তৈরি করা সেফ হোম ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। ফলে ভিতরে তাদের মধ্যে কোনও রকম গোপন সমঝোতা তৈরি হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এর মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইঙ্গিতেই হয়তো তিনি ঘোষণা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Advertisement