করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
শেষ ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের মৃতের সংখ্যা ১৪। এদিনও সংক্রমিত এর চেয়ে সুস্থতার সংখ্যা ছিল বেশি। সংখ্যায় সামান্য হেরফের হলেও পরিস্থিতি ভালোর দিকেই রয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
মিউকরমাইকোসিস নিয়ে উদ্বেগ
তবে মিউকরমাইকোসিস নিয়ে সামান্য উদ্বেগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই করোনা রোগী ছিলেন ফলে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। তবে নতুন করে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়ার কোনও খবর নেই উত্তরবঙ্গে।
মৃতদের খতিয়ান
উত্তরবঙ্গে শেষ ২৪ ঘন্টায় মৃত ১৪ জনের মধ্যে চার জন জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একজন ছেলের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি বাকি দুজন উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন।
নতুন আক্রান্তের হিসেব
নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৮৫ জন। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে ১৩৩ জন, কোচবিহারের ২১৩ জন, দার্জিলিংয়ের ৩৩৭ জন, কালিম্পং এর ৭৩ জন, জলপাইগুড়ির ৫১০ জন, উত্তর দিনাজপুরের ১৮০ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৯৭ জন, মালদার ১৪১ জন রোগী রয়েছে। শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা একশোর নীচে নেমেছিল। ফের তা ১০০ ছাড়িয়েছে।
সুস্থতার পরিসংখ্যান
অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ২ হাজার ৩৭৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারের ২২০ জন, কোচবিহারের ৩৭৭ জন, দার্জিলিংয়ের ৩২০ জন, কালিম্পংয়ে ১০৭ জন, জলপাইগুড়িতে ৬৯৭ জন, উত্তর দিনাজপুরে ২৩৬ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের ২০০ এবং মালদায় ২১১ জন বাসিন্দা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উত্তররের করোনা হালহকিকত
এদিকে শিলিগুড়ির পাশাপাশি রায়গঞ্জে অক্সিডেন্ট পার্লার চালু হয়েছে। যেখান থেকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে। অন্যদিকে মিরিক কলেজে স্থানীয়দের চিকিৎসার জন্য সেফ হোম চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে কোভিড আইসিইউ চালু করা হয়েছে, তাতে চটজলদি স্থানান্তরিত করা সম্ভব নয়। তাঁদের পক্ষে অত্যন্ত হিতকর হবে।