সৌরভ তৃণমূলের সাংসদ হলেও আপত্তি নেই বিজেপির
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে তৃণমূল যদি রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠায়, তাহলে বিজেপির কোনও আপত্তি নেই। এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যতই সৌরভের বাড়িতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিয়ে যান না কেন, নেতা-নেত্রীরা রাজনীতির বাইরে এক পা চলতে পারেন না। তবে সৌরভের বিষয়ে আমাদের আপত্তি নেই।
কানাঘুষো এখন প্রকাশ্যে
দিলীপের আগ বাড়িয়ে এমন বক্তব্যে যা ছিল কানাঘুষো কিংবা গোপন ফিসফাস, তা এখন প্রকাশ্যে চলে এল। সেই সঙ্গে দিলীপ কি এই বক্তব্যের মাধ্যমে তৃণমূলের সুবিধা করে দিলেন! প্রশ্ন ঘুরে ফিরে উঠতে শুরু করেছে।
আচমকা সৌরভের বাড়িতে মমতা যোগে রাজনীতি !
বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও বিসিসিআই সভাপতির ৪৯ তম জন্মদিনে আচমকা বিকেলে সৌরভের বাড়িতে হাজির হন রাজ্যের সর্বময় কর্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সৌরভকে তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠাবে কি না।
এত বছরে প্রথম সৌরভের বাড়িতে, তাই জল্পনা জোরদার
রাজ্যসভার সাংসদ পদ নিয়ে চর্চার আরও কারণ বাংলা থেকে এখনও তৃণমূলের দুজন রাজ্যসভার সাংসদ পদ বকেয়া রয়েছে। সে কারণেই চর্চা আরো জোরদার। যদিও এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা তৃণমূল অথবা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কোনও রকম মন্তব্য কিংবা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি কালীঘাট থেকে বেহালা সামান্য দূরত্ব হলেও এত বছরে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেও এই প্রথম তিনি সৌরভের বাড়িতে পা রাখলেন। সে কারণেই আরও জোরদার আলোচনা।
বাবুলেও সহমর্মী মমতা !
তবে শুধু সৌরভ নয়, বাংলার আরও এক সন্তান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সদ্য অপসারিত মন্ত্রী বাংলার বাবুল সুপ্রিয়র প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নরম সুর দেখে অনেকে বাবুলকেউ দলে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন। মুখ্যমন্ত্রী সম্পতি মন্তব্য করেন, বাবুল এখন ওদের কাছে খারাপ হয়ে গেল। তা থেকেই মনে করা হচ্ছে তৃণমূলের নজর গায়ক-নেতার দিকেও। যদিও বাবুল সুপ্রিয়র পাশে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন আসলে মুখ্যমন্ত্রী বাবুলের পদত্যাগে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। কারণ সবসময়ই রাজ্যের কড়া সমালোচক ছিলেন বাবুল।
টিকা নিয়ে রাজ্যকে তোপ দিলীপের
এদিন দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের করোনা টিকা ইস্যুতেও খড়গহস্ত ছিলেন। দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, টিকা বিলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও পরিস্থিতিতেই ঠিকমতো টিকা বিতরণ হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যেক রাজ্যকে জনসংখ্যার অনুপাতে সমানভাবে করোনা টিকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য টিকাকরণে ব্যর্থ।