scorecardresearch
 

রাজ্যে সংক্রমণের শীর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর, দিলীপের গোঁসা

রাজ্যে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর। প্রতিদিন গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৮শো। যা রাজ্যের গড় সংক্রমণের চেয়ে অনেকটা বেশি। পরিস্থিতি গুরুতর, তাই স্বাস্থ্য দফতরেরর পাশাপাশি সংক্রমণ ঠেকাতে পথে নামাতে হয়েছে পুলিশকেও।

Advertisement
কনটেনমেন্ট জোন কনটেনমেন্ট জোন
হাইলাইটস
  • দৈনিক গড় সংক্রমণ ৮০০
  • জেলায় ৫৩ টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন
  • দৈনিক ৩ হাজার করোনা পরীক্ষা

সংক্রমণে শীর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫৩ টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করে গভীর রাতে রাস্তায় পুলিশ সুপার, জেলা শাসক, জোন ভাগ নিয়ে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।

সংক্রমণে রাজ্যে শীর্ষে মেদিনীপুর

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণে রাজ্যে শীর্ষে ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেও গত দু সপ্তাহে ফের আয়ত্বের বাইরে চলে গিয়েছে। ফলে পুনরায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা ৷ জেলাতে ৫৩ টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করে বিধিনিষেধ- এ গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে ৷ তারপরও রাতে বিভিন্ন জোনে বেরিয়ে পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখলের পুলিশ সুপার ও জেলা শাসক ৷ প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷

করোনা জোন

সাপ্তাহিক আক্রান্তের গড় প্রায় ৮০০ 

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুন থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে জেলাতে ৮০৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৷ এর মধ্যে ১৬৯ জন মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা ৷ সংক্রমণের তালিকাতে দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর শহরেই সংক্রমিত এ পর্যন্ত ৯ হাজার ১ জন ৷ মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের ৷ পুরো জেলা হিসেব করলে জেলার সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণ প্রায় ৮০০ ৷ ফলে পরিস্থিতি উদ্বেগের বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা ৷ তাই বুধবারই বৈঠক করে জেলাতে ৫৩ টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷ কড়া বিধিনিষেধ জারি করে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৷

রোজ ৩ হাজার করোনা পরীক্ষা

জেলাশাসক ডাঃ রশ্মি কমল জানাচ্ছেন-আমরা সংক্রমণটা আটকাতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছি । সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রচার করে । জেলাতে রোজ আড়াই থেকে তিন হাজার করোনা পরীক্ষা হচ্ছে । কমিউনিটি টেষ্ট ও গ্রামে গিয়েও পরীক্ষা করা হচ্ছে । গুরুত্ব সহকারে জোন ভাগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।

Advertisement
করোনা

পুলিশি প্রহরায় নজরদারি চলছে

জোন ভাগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্গেই কড়া পুলিশি নজরদারিও রয়েছে। প্রতি জোনে পুলিশি নজরদারি ছাড়াও সংক্রমিত পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে প্রয়োজন অনুসারে সামগ্রী দিতে বিশেষ স্টিকার লাগানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পুলিশ সুুপার দীনেশ কুমার। সেগুলি কতখানি হচ্ছে, তা দেখতে বৃহস্পতিবার রাতে মেদিনীপুর শহরের কন্টেনমেন্ট জোনে ঘুরলেন জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার নিজে। অনেক রাত পর্যন্ত ঘুরে কথা বললেন বিভিন্ন বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও । 
 

কন্টেনমেন্ট জোন নিয়ে ক্ষুব্ধ দিলীপ

তবে এই কন্টেনমেন্ট জোন ভাগ করার ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, কোন ভিত্তিতে হটাতৎ করে এই জোন ভাগ তা পরিষ্কার নয় । এটা খামখেয়ালি বা লটারি করার মতো হয়েছে। প্রশাসনের উচিত মানুষের বিভ্রান্তি কাটাতে সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের ডেকে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

 

Advertisement