গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলে
বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার ছিল তৃণমূল। দলে দলে লোক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। দলের দিকে আঙুল তুলেছিল একাধিক নেতা। যার প্রভাব পড়েছিল তৃণমূলে। একের পর এক আসনে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে।
কিছুদিন বিরতির পর স্বমহিমায় মাথাভাঙা তৃণমূল
ভোটের পর কদিন বিরতির পর ফের প্রকাশ্যে শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। কোচবিহারের মাথাভাঙায় দলের এক সক্রিয় নেতাকে শো-কজ করাকে কেন্দ্র করতেই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়ে যায়। অভিযোগের তির ব্লক সভাপতির দিকে। দলবিরোধী কাজ এবং দুর্নীতির কারণ দেখিয়েই শোকজ করা হয়েছে ওই অভিযুক্তকে। তবে একজন ব্লক সভাপতির শো-কজের পরই তাঁর ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ব্লক সভাপতির অভিযোগ
ব্লক সভাপতি হরিপদ মিত্রর অভিযোগ, কোচবিহারের মাথাভাঙার ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি সাবলু বর্মন বিভিন্ন লোকেদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি করছিলেন। তালিকায় ছিল রেশন ডিলার, কন্ট্রাকটারদের নাম। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে পারডুবি অঞ্চল তৃণমূল প্রধানের বাড়িতে সভা করে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।
অভিযোগ অস্বীকার সাবলুর
এ ছাড়া বিধানসভা ভোটের পর থেকে তিনি দলবিরোধী কাজে যুক্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগেই সাবলুকে শোকজ করেন তিনি। যদিও ব্লক সভাপতির এই সিদ্ধান্ত বিরোধিতা করেছেন ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি সাবলু বর্মন। দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারেরও অভিযোগও তুলেছেন অভিযুক্ত সাবলু। এই পরিস্থিতিতে তিনি জেলা তৃণমূল সভাপতিকে পাশে পেয়েছেন।
ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে সরব জেলা সভাপতি
জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, ব্লক সভাপতি যা করেছেন তা তাঁর এক্তিয়ারভুক্ত নয়। কেন তিনি এমন কাজ করলেন, তা খতিয়ে দেখবে দল। যদিও তার পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া ব্লক সভাপতির তরফে পাওয়া যায়নি।
লাভ ওঠাতে পারে বিজেপি
দলীয় সূত্রের খবর, ব্লক সভাপতি হরিপদ মিত্র, বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। অভিযুক্ত সাবলু আবার ব্লক তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিমা রায়ের ঘনিষ্ঠ। তাই দু পক্ষের লড়াই গোষ্ঠীকোন্দলে পরিণত হয়েছে। বারবারই বিরোধী বিজেপি শিবির তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সরব হয়েছে। সুর চড়িয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙায় শোকজকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে চলে আসার ইস্যুকে আবারও হাতিয়ার করতে পারে গেরুয়া শিবির। তা নিয়েই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।