বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে রাজধানী শাহবাগ মোড় অবরোধ করে গণ অনশন কর্মসূচি পালন করল বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
আজ সকাল ৬টা থেকে তারা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর চত্বরে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে গণ অবস্থান নেন তাঁরা।
এসময় শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন, সাইন্সল্যাব, বাংলামোটর ও টিএসসি চত্বরের দিকের সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে তাদের গণঅবস্থানে সংহতি প্রকাশ করেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের নেতা হাসানুল হক ইনু। এসময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য দুঃখ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এই হামলা শুধু হিন্দুদের ওপর হামলা নয়, গোটা বাঙালির ওপর হামলা। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের একটা অংশ এর জন্য দায়ী।
এরপর গণ অবস্থানে সংহতি প্রকাশ করতে উপস্থিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফিরদৌস। এসময় তিনি বলেন, হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে।
গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক। কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতি, জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু লীগ, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের নেতা–কর্মীরা।
এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ রবি দাস উন্নয়ন পরিষদের নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের জেলায় জেলায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নহ বিভিন্ন সংগঠন।