শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। টলিউডে কারও 'অপু', আবার কারও 'অপু দা'। দর্শকদের কাছে 'তোপসে', 'বব বিশ্বাস', 'শবর', 'হাতকাঁটা কার্তিক', 'বাদল বাগচী' ইত্যাদি নানা অনস্ক্রিন নাম আছে তাঁর। সম্প্রতি 'স্বস্তিক সংকেত (Swastik Sanket)-এ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং '৮/১২ বিনয় বাদল দীনেশ' (8/12 Binay Badal Dinesh) ছবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমচন্দ্র ঘোষের চরিত্রে ফের সকলের মন জয় করেছেন তিনি। আজতক বাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় টলিউড ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood Industry) সমস্যা থেকে আগামী ছবিতে কাজ, অকপট শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)।
বাংলার পাশাপাশি বর্তমানে হিন্দিতেও দাপিয়ে কাজ করছেন শাশ্বত। টলিউডের অন্যান্য অভিনেতার থেকে একটু ভিন্ন রাস্তাতেই হাঁটতে ভালোবাসেন তিনি। তাই নিজের 'জনসংযোগ' একেবারেই না পসন্দ অভিনেতার। কিন্তু কথায় বলে, 'কাজের মানুষকে ঠিক খুঁজে নেওয়া হয়'। আর একথা একেবারেই প্রযোজ্য তাঁর ক্ষেত্রেও। এজন্যেই টলিপাড়া, মায়ানগরীতে কাজের পাশাপাশি এবার শাশ্বতকে দেখা যাবে দক্ষিণী ছবিতেও। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই কাজ।
আরও পড়ুন: ইরফানকে নিয়ে হিন্দিতে 'হেমলক সোসাইটি'-র রিমেক বানানোর পরিকল্পনা ছিল সৃজিতের!
ইন্ডাস্ট্রিতে ভাষা রাজনীতি কি সত্যি রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে শাশ্বত বললেন, "কোথায়? তাহলে আমায় এত কাজ দিচ্ছে কে? কেনই বা দিচ্ছে? এখনই সবটা বলছি না, তবে আমি একটা ডবল ভার্সনে ছবি করছি হিন্দি ও তেলেগু ভাষায়। তেলেগুর কিচ্ছু জানি না আমি। পরিচালক আমায় বললেন, আমি পারব... প্রতিটা শব্দের আলাদা আলাদা মানে জেনে, কোন শব্দে বেশি জোড় দেব সেটা বুঝে নিচ্ছি। কিন্তু কাজটা খুব কঠিন।"
আরও পড়ুন: 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'-র জন্য 'বুম্বা'-কে শুভেচ্ছা অমিতাভ, সুনীলের!
অভিনেতা যোগ করলেন, "একটা সময় বাংলা ছবি থেকে অন্যান্য ভাষায় কাজ হত। আমরাই ভুল করলাম, নতুন কিছু ভাবতে পারলাম না। আমরা তামিল- তেলেগুর রিমেক আরম্ভ করলাম। কারণ ভাল কিছু ভাবার মত সময় বা অর্থ আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এদিকে সিনেমা হল ফাঁকা রাখা চলবে না... আমার খুব খারাপ লাগে যখন প্রতিষ্ঠিত কেউ এসে বলেন, এই সিডিটা তুমি দেখে নাও এই চরিত্রটা তুমি করবে। ট্যালেন্টের অভাব নেই আমাদের এখানে, কিন্তু সেই সুযোগটা নেই।"
আরও পড়ুন: কারও চোখে হাউসফুল-কারও রিলিজেই ভয়! দোটানায় টলি পরিচালকরা
ব্যস্ততম অভিনেতার আগামী মাস প্রায় পুরোটায় কাটবে হিন্দি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য শ্যুটে। তবে শাশ্বত মনে করেন, সব ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেই, তা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসা একেবারেই ঠিক না। তাঁর কথায়, "আমার মনে হয় বড় ছবি ওটিটি-তে দেওয়া উচিত না। আমার সবচেয়ে অবাক লাগে, কী হল বাঙালির। একটা ছবি মুক্তির কথা শুনলেই পরবর্তী কমেন্ট আসে, কোন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসবে? এত কুঁড়ে হলে তো খুব মুশকিল। আর লগ্নির কথা ভাবলে, বলতে হয় একটু কম ছবি হোক, কিন্তু বড় ছবি হোক।"