কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবেই দিল্লির রাজপথে ট্র্যাক্টর প্যারেড করার কথা ছিল কৃষকদের। সেই মতই সকাল থেকে শুরু হয় ট্র্যাক্টর র্যালি। কিন্তু বিক্ষিপ্ত ঘটনায় উত্তাল হল রাজধানীর রাজপথ।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মূল কুচকাওয়াজ শেষ হতেই কৃষক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দিল্লি কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সোমবার রাত থেকেই বিভিন্ন অংশে জারি ছিল ট্র্যাফিল অ্যালার্ট।
পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের ঠিক করা রুটে ট্র্যাক্টর র্যালি করেনি কৃষকরা। এক পর্যায়ে কৃষকরা ট্র্যাক্টর নিয়ে তেড়ে আসে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ করা হয়।
এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। যার জেরে আরও অশান্ত হয় গোটা পরিস্থিতি।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানান হয় যে সশস্ত্র কৃষকদের একাংশ হামলা চালিয়েছেন বাসে, পুলিশের উপরে।
দিল্লি পুলিশ সাধারণতন্ত্র দিবসে ৫০০০ ট্রাকটর কুচকাওয়াজের জন্য অনুমতি দেয়। কিন্তু সারা দেশ থেকে আসা কৃষকদের চাপে সেই সংখ্যা পেরিয়ে যায় অনেকটাই। ফলে পুলিশের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গের বিষয়টিও উঠে আসছে।
সারা ভারত কৃষক সভা জানিয়েছে, দিল্লির পাশাপাশি দেশের সর্বত্র হবে কৃষি আইনের প্রতিবাদ। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতৃত্ব সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের হুঁশিয়ারি, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সংসদ ভবন অভিযান শুরু হবে।
কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত দু মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লি ঘিরে লক্ষ লক্ষ কৃষক প্রতিবাদে রত। কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও সমাধানসূত্র অধরা।
কৃষকদের দাবি পুলিশের অনুমতি নিয়েই এই মিছিল হয়েছে। কিন্তু তাও লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে কেন মিছিল ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করা হল?
এদিন, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান থেকে আসা লক্ষ লক্ষ কৃষক কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির সীমান্তে ঘেরাও করে আছেন।
অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাডু, কেরল সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রবল কৃষক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমিতির যৌথ মঞ্চের কৃষক নেকাদের দাবি, আইন বাতিল না করে তারা ফিরবেন না। আন্দোলন আরও জোরদার করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।