গতবছর ডিসেম্বরে ডেটার চার্জ বাড়িয়ে দিয়েছে রিলায়েন্স জিও। এতে ধাক্কা খেয়েছে সংস্থা। ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ গ্রাহক ছেড়ে দিয়েছেন জিও-র সংযোগ।
১ কোটির বেশি গ্রাহক চলে গেলেও এখনও দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা জিও। এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আর্থিক হিসেবনিকেশ বলছে, শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে মুকেশ অম্বানির সংস্থার। আয় করেছে ২০,৯০১ কোটি টাকা।
গতবছরের তুলনায় চতুর্থ ত্রৈমাসিকে কোম্পানির নিট লাভ ২৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪১৭৩ কোটি।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিও আয় করেছে ৭৭.৩৫৬ কোটি টাকা। ১৪,৫৮৪ কোটি টাকা লাভ হয়েছে সংস্থার। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে যা ছিল ১২,০৭১ কোটি।
গ্রাহকরা ছাড়লেও চার্জ বাড়ানোয় লাভ হয়েছে জিও-র। গ্রাহক পিছু আয় বেড়ে গিয়েছে। মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক প্রায় ৪১.২ কোটি। গতবছর গ্রাহক প্রতি আয় হয়েছিল ১৫১.৬ টাকা। সেটা এবার ২১.৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৬৭.৭ টাকা। ফলে গ্রাহক ছাড়লেও মাথা পিছু আয় দিয়ে পুষিয়ে নিয়েছেন অম্বানি।
সংস্থার দাবি, যে সব গ্রাহকরা সংযোগ ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা খুব একটা ব্যবহার করতেন না। ফলে এতে লাভই হয়েছে। একটি রিপোর্ট বলছে, জিও-র সক্রিয় সাবস্ক্রাইবার বেড়ে গিয়েছে। ইউজারপিছু ডেটার ব্যবহার ১৯.৭ জিবি এবং ৯৬৮ মিনিট প্রতি মাসে বেড়েছে।
গতবছরই চার্জ বাড়িয়েছিল রিলায়েন্স জিও। এভাবে গ্রাহক প্রতি আয়ও বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। সংস্থার মতে, অনেকে জিও সিম সেকেন্ডারি হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। তাঁরাই ছেড়েছেন।
শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই জিও-র আইপিও আসতে পারে শেয়ার বাজারে। এ ব্যাপারে রিলায়েন্সের সাধারণ সভায় ঘোষণা করতে পারেন মুকেশ অম্বানি। সূত্রের খবর, এলআইসি-র চেয়ে বড় আইপিও আসতে চলেছে জিও-র।