Visva-Bharati University: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)-এর পাঠভবন (Patha Bhavana) ও শিক্ষাসত্র (Siksha Satra)-এর “জয়েন্ট ইনস্টিটিউট বোর্ড"এর পাঠক্রম সংকোচনের প্রস্তাব গৃহীত হল না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসারে সম্পূর্ণ পাঠক্রমের ওপর পরীক্ষা হবে। এ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বক্সায় রয়্যাল বেঙ্গলের দেখা, নিরাপত্তার জন্য বন্ধ থাকছে জাঙ্গল সাফারি
করোনা পরিস্থিতি পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের সার্টিফিকেট এবং প্রিডিগ্রি সম্পূর্ণ পাঠক্রমের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: 'কে কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না,' সোজাসাপ্টা রোহিত শর্মা
চলতি সপ্তাহে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে দীর্ঘ ভার্চুয়াল বৈঠকের পর পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের “জয়েন্ট ইনস্টিটিউট বোর্ড”এর পাঠক্রম সংকোচনের প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নয়া 'কুছ খাস হ্য়ায়!' ক্যাডবেরির নতুন অ্যাডে অর্ধেক আকাশের জয়গাথা
অভিযোগ, তা খারিজ করে দেওয়া হয়। ঠিক হয়েছে, সম্পূর্ণ পাঠক্রমের ওপর স্কুল সার্টিফিকেট এবং প্রিডিগ্রি লিখিত পরীক্ষা হবে। যা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: হুগলিতে বাড়ির টালির চালা খুলে গুলি করে খুনের চেষ্টা, ভাড়া করা হয়েছিল 'সুপারি কিলার'
তাদের অভিযোগ, আগামী দু-মাসের মধ্যে টেস্ট এবং ফাইনাল পরীক্ষা। তার আগে এই ধরনের পরিবর্তনে আখেরে ক্ষতি হবে ছাত্রছাত্রীদের। এসএফআই-এর বিশ্বভারতী ছাত্র ইউনিটের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাঁট মাল বেচে ২০০ কোটি টাকা ঘরে তুলল পূর্ব রেল, বৃদ্ধি ৮০ শতাংশ
করোনা (Corona)-র প্রভাব বাড়তে থাকায় আবার নতুন করে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনলাইন ক্লাস চলছে। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন বোর্ড তাদের পাঠক্রম সংক্ষিপ্ত বা সংকোচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিঁথির মোড়ে 'বুর্জ খলিফা' ৫০ টাকায়! শেষ হওয়ার আগে কিনে ফেলুন
রাজ্যে শিক্ষা দফতরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড করোনাকালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কথা মাথায় রেখে পাঠভবন (Patha Bhavana) ও শিক্ষাসত্র (Siksha Satra)-এ “জয়েন্ট ইনস্টিটিউট বোর্ড”এ সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)-ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ভিত্তিতে স্কুল সার্টিফিকেট (মাধ্যমিক) এবং প্রিডিগ্রি (উচ্চমাধ্যমিক) পরীক্ষা নেবে।
আরও পড়ুন: '২২ জুন বাঙালির কলজের জন্মদিন' দাদাগিরির মঞ্চে রাহুলের কবিতা Viral
সেই সিদ্ধান্ত এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ছাত্র-ছাত্রীদের জানিয়েও দেওয়া হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৭ জানুয়ারী থেকে শিক্ষাসত্র (Siksha Satra)-এ টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাঠভবন (Patha Bhavana)-এ টেস্ট পরীক্ষা শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে।
একই ভাবে দেড় মাসের মধ্যে ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু দু'টি স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষা লিখিত হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, পরীক্ষার প্রস্তুতি ও দিনক্ষণ যখন সম্পূর্ণ, আচমকাই বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ দুই স্কুলের প্রিন্সিপালদের ডেকে জানিয়ে দেন যে ইনস্টিটিউট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর পরীক্ষা হবে না। পুরো সিলেবাসের উপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা।
এসএফআই-এর বিশ্বভারতী ছাত্র ইউনিটের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, উপাচার্য এক্তিয়ার বহির্ভুত কাজ করেছেন। ইন্সটিটিউট বোর্ডের কোনও সিদ্ধান্ত বদলের এক্তিয়ার একমাত্র অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের আছে।
তাঁর দাবি, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল না ডেকে উপাচার্য একটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত বদল করতে পারেন না। গোটা ব্যপারটায় বলির পাঁঠা হল ছাত্রছাত্রীরা।
এই বিষয়ে এসএফআই ছাত্রনেতা সোমনাথ সৌ বলেন, পরীক্ষার সামনে এই ভাবে সিলেবাস সংক্ষপ্তি করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে উপাচার্য এবং বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে অবিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া কোন উপায় নেই।
পাঠভবন (Patha Bhavana) ও শিক্ষাসত্র (Siksha Satra)-এর সিলেবাস নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)-এর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিককে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।