টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদী (৭৩) ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পর দ্বিতীয় নেতা যিনি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন। ১৯৫২, ১৯৫৭ এবং ১৯৬২ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন নেহরু।
বয়স ৭২ বছর। দেশের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন রাজনাথ সিং। তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদেও ছিলেন।
বয়স ৫৯ বছর। দ্বিতীয় মোদী সরকারে ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। টানা দ্বিতীয়বার গান্ধীনগর থেকে সাংসদ হলেন। সাত লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছেন। চারবার গুজরাতের বিধায়ক।
বয়স ৬৭ বছর। ২০১৪ সাল থেকে মোদী সরকারের মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি। তিনি বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে নির্বাচনে জিতে টানা তৃতীয়বার সাংসদ হয়েছেন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ২০১৪ সাল থেকে তিনি মোদী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। হিমাচল সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন।
বিদেশ সচিবের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি দেশের বিদেশমন্ত্রী হন এস জয়শঙ্কর। দু'বার রাজ্যসভা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
আগের সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন নির্মলা সীতারামন। রাজ্যসভার সাংসদ।
প্রথমবারের মতো ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের বিদিশা থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন।
প্রথমবার পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মনোহরলাল খট্টর। ৯ বছর হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রাক্তন প্রচারক। হরিয়ানার কর্নাল থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
এইচডি কুমারস্বামী কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার ছেলে। ভোক্কালিগা সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। তিনি এনডিএ-র শরিক জনতা দল সেক্যুলারের নেতা।
পীযূষ গোয়েল রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। প্রথমবার লোকসভা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত দুটি মোদী সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। মহারাষ্ট্রের মুম্বই উত্তর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
ধর্মেন্দ্র প্রধান আগের সরকারে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ওড়িশার সম্বলপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন।
৭৮ বছরের জিতন রাম মাঞ্জি এনডিএ জোটের শরিক হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার নেতা। তিনি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। দলিত সম্প্রদায় থেকে এসে প্রথমবার সাংসদ হয়েছেন।
নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডের সাংসদ লালন সিং। তিনি জেডিইউর প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি। ভূমিহার সম্প্রদায়ের নেতা। মুঙ্গের থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
সর্বানন্দ সোনোয়াল অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছেন৷ বিগত সরকারে মন্ত্রী হয়েছেন। অসমের ডিব্রুগড় থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন।
বীরেন্দ্র খটিক বিগত সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। অষ্টমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তিনি মধ্যপ্রদেশের টিকমগড় আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মধ্যপ্রদেশের দলিত নেতা।
৩৬ বছরের কে রামমোহন নাইডু পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের সাংসদ। প্রাক্তন মন্ত্রী ইয়েরেন নাইডুর ছেলে তিনি। এবার তিনিই হলেন সর্বকনিষ্ঠ পূর্ণমন্ত্রী।
প্রহ্লাদ জোশী কর্ণাটকের ধারওয়াদ থেকে পঞ্চমবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন৷ তিনি কর্ণাটক বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। আগের সরকারে মন্ত্রী ছিলেন।
জুয়েল ওরাম ওড়িশার সুন্দরগড় থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন৷ তিনি অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ষষ্ঠবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। আদিবাসী সমাজের বড় নেতা।
গিরিরাজ সিং পূর্ববর্তী সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। বিহারের বেগুসরাই থেকে টানা তৃতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বিহার সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন।
অশ্বিনী বৈষ্ণব পূর্ববর্তী সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। রেলমন্ত্রী ছিলেন তিনি। বর্তমানে ওডিশা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ এই প্রাক্তন IAS।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। পঞ্চমবার লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন। তিনি মধ্যপ্রদেশের গুনা আসনের সাংসদ।
ভূপেন্দ্র যাদব রাজস্থানের আলওয়ার থেকে প্রথমবার লোকসভার সাংসদ হয়েছেন। আগের সরকারে পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন। বিজেপির রণকৌশলী হিসেবে পরিচিত।
গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত দ্বিতীয়বার রাজস্থানের যোধপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। আগের সরকারে জলশক্তি মন্ত্রী ছিলেন।
ঝাড়খণ্ডের কোডারমার সাংসদ অন্নপূর্ণা দেবী। তিনি ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত। তিনি আগের সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। দ্বিতীয়বার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
কিরেন রিজিজু অরুণাচল পশ্চিম আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন। তিনি পূর্ববর্তী সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। উত্তর পূর্বে বিজেপির বড় মুখদের মধ্যে অন্যতম।
হরদীপ পুরি উত্তর প্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ। পূর্ববর্তী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। IFS থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে আসেন।
মানসুখ মান্ডভিয়া গুজরাটের পোরবন্দর থেকে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন। আগের সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন।
জি কিশান রেড্ডি তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ আসন থেকে টানা দ্বিতীয়বার লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন। বিগত সরকারের পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ছিলেন।
চিরাগ পাসওয়ান বিহারের হাজিপুর লোকসভার সাংসদ। এনডিএ-র শরিক লোক জনশক্তি পার্টির নেতা। প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন।
সিআর পাটিল গুজরাত বিজেপির সভাপতি। নবসারি আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। টানা চতুর্থবার নির্বাচনে জিতেছেন। সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড তৈরি হয়েছিল ২০১৯ সালে।