Advertisement

উত্তরবঙ্গ

একই দেওয়ালের দু'দিকে বিজেপি-তৃণমূল, সৌজন্য নয়, অন্য অঙ্ক দেখছে স্থানীয়রা

জয়দীপ বাগ
  • শিলিগুড়ি,
  • 07 Jan 2022,
  • Updated 10:33 AM IST
  • 1/9

কী বলবেন একে? সৌভ্রাতৃত্বের নজির! নাকি যুদ্ধের আগেই ওয়াকওভার! নইলে বিজেপি ও তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয় একটিই মাত্র ঘর। মাঝে শুধু একটি নামে মাত্র পার্টিশন।

  • 2/9

এ দলের ফিসফিসানি অন্য দলের কাছে পৌঁছে যায়। তাই ফিসফিসানিও বন্ধ। চলছে শুধুই চা-পকোড়া সহযোগে আড্ডা। 

  • 3/9

রাজ্য জুড়ে সব জায়গায় তৃণমূল এবং বিজেপির দ্বন্দ্ব রোজকার নিয়মমাফিক খবর। সেখানে শিলিগুড়িতে কোন অঙ্কে এতটা সৌজন্য দেখাচ্ছে দুই দল? বিশেষ করে যেখানে বিজেপি ও তৃণমূল একে অন্যের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে অন্য দলের কর্মীদের পাশা দাঁড়াতে দলীয় বারণ রয়েছে। 

  • 4/9

শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১২ নং ওয়ার্ডে গতবারেরর তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পাল এবার বিজেপির ঘুঁটি। জয়ের ব্যাপারে তিনিই প্রধান দাবিদার। অন্যদিকে গতবার কংগ্রেস থেকে দাঁড়িয়ে প্রায় জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার জোগাড় হয়েছিল বাসুদেব ঘোষের। তিনিই এবার নান্টুবাবুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের বোরে। 

  • 5/9

ওয়ার্ডের প্রধান বিল্ডিংয়ের সামনে একটি নির্বাচনী কার্যালয় বানিয়েছে দুই দল। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় বরাবরই নান্টু পালের উদ্যোগে নির্বাচনী কার্যালয় তৈরি করে এসেছে তৃণমূল। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে নান্টু পাল তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে সস্ত্রীক বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকে ওই জায়গায় তৃণমূলের পাশাপাশি নির্বাচনী কার্যালয় করছে বিজেপি।

  • 6/9

ঠিক এবারও পুরনিগমের ভোটে ১২ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী নান্টু পাল ও তৃণমূল প্রার্থী বাসুদেব ঘোষের নির্বাচনী কার্যালয়ে বানিয়েছে দুই দল। তবে এই নির্বাচনী কার্যালয়ে তৈরির আগে এক প্রস্থ বাদানুবাদ হয়েছিল দুই দলের মধ্যে বলে জানা গিয়েছে। পরে অবশ্য একে অপরের সাথে আলোচনা করে জায়গা করে নিজেদের দলের কার্যালয় তৈরি করে। দলীয় সূত্রে জানাগেছে ওই একই জমিতে তৃণমূল ১৭ / ৩২ বর্গফুট এবং বিজেপি ৯/৩০ বর্গফুটের  কার্যালয় তৈরি করেছে। বর্তমানে ওই কার্যালয় থেকেই দুই দল তাদের পুরনির্বাচনের কাজকর্ম করছে।

  • 7/9

এদিন বিজেপি প্রার্থী নান্টু পাল বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে এখানে একই ভাবে নির্বাচনী কার্যালয় তৈরি হয়েছিল। তবে এবারও পুরনির্বাচনের কার্যালয় হয়েছে। আমি ওদের অর্ধেকের বেশি জমি ছেড়ে নিজের দলীয় কার্যালয় তৈরি করেছি। পাশের দলের কর্মীদের কথা শোনা যায় কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা ব্যস্ত থাকি। তাই আমাদের কথা শোনার প্রয়োজন হয় না। তবে এবার এই ওয়ার্ড থেকে বিজেপি জয়ী হবে। 

  • 8/9

অন্যদিকে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বাসুদেব ঘোষ বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই এই জায়গাতেই তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয় হয়ে থাকে। এবারও আমরা জমির মালিকের কাছে অনুমতি নিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় তৈরি করেছি। কিন্তু একসঙ্গে কার্যালয় হওয়ায় কিছুটা অসুবিধা হয়। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অন্য জায়গায় করা হয়। কারণ জানি না কে কখন দেওয়ালে আড়ি পাতে। তবে এবার পুরনিগম তৃণমূলই দখল করবে।

 

  • 9/9

তবে বাসুদেববাবুর চেয়ে এলাকায় নান্টুবাবুর প্রভাব অনেকটাই বেশি বলে স্থানীয়দের দাবি। নান্টুবাবু পুরভোটে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল যে দল থেকে দাঁড়িয়েছেন, জিতেছেন। এবার বিজেপি থেকে পালা। অন্যদিকে বাসুদেববাবু গতবার কংগ্রেস থেকে লড়েছিলেন। হেরে গিয়েছেন। এবার নান্টুবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের শূন্যস্থান তিনি পূরণ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তবে স্থানীয়দের একাংশ বলছেন সব আন্ডারস্ট্যান্ডিং। আসলে এই ওয়ার্ডে কেউ কেউ নামে মাত্র লড়ছেন। ফল আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছে।

Advertisement
Advertisement