Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন

'বহেন' বলেই সৌজন্য শেষ ! নেতাজির মঞ্চে 'দো গজ কি দূরি' রাখলেন মোদী-মমতা

Aajtak Bangla
  • 24 Jan 2021,
  • Updated 1:40 PM IST
  • 1/15

বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই শিবির থেকেই নেতাজিকে নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল  বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও হাজির হয়েছিলেন। 
 

  • 2/15

এর আগে গতবছর মে মাসে আমফান সঙ্কটের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেবার মমতাকে পাশে বসিয়েই  আমফানের দুর্দশা দেখার পর ১০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। 
 

  • 3/15

তার আগে গতবছর জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার বাংলা সফরে এসেছিলেন মোদী। সেবার  দেশজুড়ে চলা সিএএ-এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই কলকাতায় পা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মিলেনিয়াম পার্কের অনুষ্ঠানেও দু'জনকে  হাজির থাকতে দেখা যায়। 
 

  • 4/15

সেবার পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে একমঞ্চে দেখা গিয়েছিল মোদী ও মমতাকে। ছিলেন রাজ্যপাল খনখড়ও। সেবার সরকারি অনুষ্ঠানে পাশাপাশি বসতেও দেখা যায় মোদী-মমতাকে। এবারও ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে পাশাপাশি চেয়ার ছিল প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর। তবে সম্পর্কের শীথিলতা এর আগে এমন ভাবে হয়তো প্রকট হয়নি কোনওবার। 

  • 5/15

পাশাপাশি গেলেন। কিন্তু কাছাকাছি হলেন না। শতাব্দীপ্রাচীন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আগাগোড়া দূরত্ব বজায় রেখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • 6/15

প্রথম সাক্ষাতে নমস্কার বিনিময় হয়েছিল। মমতা উত্তরীয়ও পরিয়ে দিয়েছিলেন মোদীকে। কিন্তু বরাবর দু’জনের মধ্যে দূরত্বটুকু চোখে পড়েছে।
 

  • 7/15

ভিক্টোরিয়ায় বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময়েও কাছাকাছি তো নয়ই, খুব কম সময়ই পাশাপাশি দেখা গেল কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই প্রধানকে। অনেক সময় দূরত্ব এতটাই বাড়ল যে ক্যামেরায় মোদীর ফ্রেমেরও বাইরেই রয়ে গেলেন মমতা।

  • 8/15

বারবার রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। কিন্তু নেতাজি জয়ন্তীতে দুই শাসকের  সম্পর্কের  দূরত্ব কমানোর চেষ্টায় খোম নেমেছিলেন  রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু তা-ও তেমনকিছু ঘটল না। তখনও অবশ্য মমতা বক্তৃতা দেওয়ার আগে জনতার একাংশ থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠেনি। মমতাও প্রতিবাদে বক্তৃতা না দিয়ে পোডিয়াম ছাড়েননি। কিন্তু কোথাও একটা অন্তর্লীন টেনশনের স্রোত বইছিল উভয় তরফেই। দু’জনকেই খানিকটা আড়ষ্ট দেখাচ্ছিল। যে আড়ষ্টতা থেকে গেল আগাগোড়া। থেকে গেল অন্তত 'দো গজ কি দূরি' ।  

  • 9/15


কোভিড বিধি মেনে মঞ্চে এবং মঞ্চের সামনে দু’জনের আসন পাশাপাশি থাকলেও দূরত্ব ছিল। সাধারণত পাশাপাশি আসন থাকলে দেখা যায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা পরস্পরের সঙ্গে ঝুঁকে পড়ে কথা বলেন। এ বার কিন্তু তেমনটা দেখা গেল না। 

  • 10/15

ক্যামেরার ঝলকানিতে এটাও কারও নজর এড়ায়নি যে, মোদী একবারও তাকালেন না মমতার দিকে। মমতাও কখনও ব্যস্ত রইলেন মোবাইলে। কখনও তাকিয়ে রইলেন আকাশের দিকে। অনুষ্ঠান শেষের পর দু’জনে সামান্য কুশল বিনিময় করলেন  বটে। কিন্তু তাতেও ‘উষ্ণতা’ চোখে পড়েনি। 
 

  • 11/15

শান্তিনিকতনে মোদীকে  স্বাগত জানাতে  হেলিপ্যাডে হলুদ গোলাপের তোড়া নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার তিনি ছিলেন নিষ্পৃহ। অন্যদিকে  হাসিমুখ উধাও ছিল মোদীরও।  

  • 12/15

কতিপয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকের অবিমৃশ্যকারিতায় শনিবার তাল কেটে গিয়েছিল  ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানের। ক্ষুব্ধ, বিরক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ না দিয়েই পোডিয়াম ছেড়েছিলেন। তার পরেও অবশ্য সৌজন্যের খাতিরে আগাগোড়া মঞ্চে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অনুষ্ঠানের মধ্যে শ্রদ্ধা এবং ভব্যতার সুর আর তেমন ভাবে ফিরে আসেনি।

  • 13/15

 ক্ষুব্ধ মমতা পোডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমেই হিন্দিতে বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, সরকারি অনুষ্ঠানের একটা শালীনতা থাকা উচিত। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়। এটা সমস্ত দলেরই কর্মসূচি। জনতার কর্মসূচি।’’ সেখানেই না থেমে মমতা বলেন, ‘‘আমায় এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ করে অসম্মান (মমতা ‘বেইজ্জত’ শব্দটি ব্যবহার করেন) করাটা শোভনীয় নয়। এর প্রতিবাদে আমি এখানে কিছু বলছি না। জয় হিন্দ! জয় বাংলা!’’ এর পরেই মমতা পোডিয়াম ছেড়ে চলে গিয়ে নিজের আসনে বসেন।
 

  • 14/15

যখন এই ঘটনা ঘটছে, তখন সেখানে নীরবে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মমতার পরেই বলতে উঠে মোদী তাঁর ভাষণ শুরু করেন ‘বহেন মমতা’জি’ বলে। কিন্তু তাতেও গোটা অনুষ্ঠানের সুর ফিরে আসেনি।

  • 15/15

 কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহে  রাজনৈতিকভাবে একে–অপরের প্রতিদ্বন্দী মোদী–মমতাকে একমঞ্চে এনে দাঁড় করিয়েছিলেনসুভাষচন্দ্র বসু, কিন্তু দু'জনের শীতল সম্পর্ক জোড়া লাগাতে ব্যর্থ হলেন স্বয়ং নেতাজিও। 

Advertisement
Advertisement