আজ অর্থাত্ বুধবার কামারহাটিতে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের সমর্থনে রোড শো করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করে মদন লিখলেন, 'আজ আমরা বাংলার যুবরাজকে সঙ্গে পেয়েছিলাম।'
কামারহাটি বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী মদন মিত্র। রঙিন মেজাজের নেতা হিসেবেই তাঁকে চেনেন রাজ্যের মানুষ। জমকালো পোশাক আর রং-বেরংয়ের চশমা।
আজ মদন ট্যুইটারে লিখেছেন, 'আমাদের উত্সাহ দিতে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার যুবরাজ। ইতিবাচক এনার্জি ছড়িয়ে গেলেন।'
সেই মদনই এবার প্রচারে কখনও ধুতি পরে বাঙালিবাবু সাজছেন তো কখনও মাথায় গেরুয়া পাগড়ি পরছেন।
নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় মদন জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর রোজগার ২৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৮২ টাকা। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের হিসেব বলছে মদন মিত্রের নামে প্রায় এক কোটি টাকা রয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মদনের নামে গচ্ছিত আছে যথাক্রমে ৩৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৪১ টাকা, ১১ লক্ষ ৪০ হাজার ৬২১ টাকা, ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৩ টাকা, ১৫ হাজার ৬৬৬ টাকা ৫৬ পয়সা, ২১ লক্ষ ৭১ হাজার ৬১৯ টাকা, ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৫৫ টাকা, ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৩৬৭ টাকা এবং ৬ হাজার টাকা। স্থায়ী আমানতে গচ্ছিত ২২ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৮ টাকা। সবমিলিয়ে মোট ১ কোটি ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৯১ টাকা রয়েছে মদন মিত্রের।
মদন মিত্র এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টার্গেট করে বলেছিলেন, "এমন দিন আসবে যেদিন বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর জন্য পুরো বাংলা বন্ধ হয়ে যাবে, যাতে বাংলায় ঢুকতে না পারেন। বাইরের লোক যাঁরা ঢুকেছেন তাঁরাও বেরোনোর জায়গা পাবেন না। প্রধানমন্ত্রী পাগল, উনি বোঝেন না। বাংলায় বিজেপির জিনা হারাম করে দেব।"
দীর্ঘ দিন কার্যত খবরের বাইরেই ছিলেন তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী মদন। সারদা মামলায় জেলও খেটেছেন।
২০১৪ সালে সারদা চিটফান্ড মামলায় মদন মিত্র গ্রেফতার হন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে। ৬ দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর তাঁকে জেলে পাঠানো হয়।