গত শনিবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেন শুভেন্দু অধিকারী। তার ৭ দিন না কাটতেই একেবারে খোদ শুভেন্দুর গড়ে গিয়ে সভা করলেন দুই তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম ও সৌগত রায়।
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর প্রথমবার অধিকারীদের গড় কাঁথিতে এদিন শক্তি পরীক্ষায় নেমেছিল তৃণমূল। বুধবার মেগা পদযাত্রা ও সভার আয়োজন করেছিল শাসকদল।
বুধবার কাঁথিতে বিশাল মিছিল শেষে ছিল তৃণমূলের সভা। এদিনের সভা বা মিছিলে অধিকারীর পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। শিশির অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোনও কর্মসূচিতেই তিনি থাকতে পারবেন না। তবুও এদিন মিছিল বা সভায় কোনও ভাটা পড়েনি।
অধিকারী পরিবারের অস্তিত্ব ছাড়া এই জনসভায় ভিড়ও হল বেশ। এদিনের মিছিলের ভিড় দেখে কার্যত উৎফুল্ল তৃণমূল নেতৃত্ব।
পদযাত্রার পর সভা থেকে সৌগত রায় বলেন, 'যারা মুখে স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তের কথা বলে, তারাই শ্যামাপ্রসাদের দলে নাম লিখিয়েছে! সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলালে কিন্তু মেদিনীপুর ক্ষমা করবে না। মিলিয়ে নেবেন।'
সৌগত রায় আরও বলেন, 'আজকের মিছিল থেকেই প্রমাণ হয়ে গেল কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়। তাই আজ বলে যাচ্ছি, কে তৃণমূল ছেড়ে চলে গেল, তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। আজকের সভাই আবার প্রমাণ করে দিচ্ছে, মমতার কোনও বিকল্প নেই।'
এদিনও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে তাঁর নাম করেই সৌগত রায় বলেন, ‘মীরজাফরদের দলে নাম লিখিয়েছেন শ্রীমান শুভেন্দু। সিরাজদৌল্লা হেরে গিয়েছিলেন কিন্তু বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব হিসেবে তাঁকে মনে রেখেছে বাংলার মানুষ। কিন্তু উমিচাঁদ, জগৎশেঠ, মীরজাফরদের কোনও ঠাঁই ইতিহাসে নেই। এই লড়াই হল বাংলার অস্মিতা ও আত্মসম্মানের লড়াই।’
শুভেন্দু দল ছাড়লেও তৃণমূলের যে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি, মিছিল ও সভা থেকে সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল তৃণমূল। পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'শিশির অধিকারীর ছেলে না হলে শুভেন্দু নমিনেশন পেতেন না। শুভেন্দু ছোট থেকেই রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়েছে। তাই সিঁড়ি দিয়ে শুঙেন্দুকে কখনওই উঠতে হয়নি। কারণ তিনি রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর সন্তান।'