স্বামী বিবেকানন্দর ১৫৯তম জন্মবার্ষিকীতে উত্তর কলকাতায় সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির বাড়িতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন সকাল থেকেই সেখানে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি। তবে এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি নাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী।
ভোটমুখী বাংলায় স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের টানাপোড়েন চলছেই। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিজেপি–র তরফে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বিধান সরণি হয়ে স্বামীজির জন্মস্থান সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। পদযাত্রায় শুভেন্দু অধিকারী না থাকলেও সিমলা স্ট্রিটে গিয়ে বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
স্বামীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই নিয়ে সিমলা স্ট্রিটে তিনি গত ২০ বছর ধরে আসছেন। ছাত্রাবস্থা থেকে শুরু করে কাউন্সিলার, বিধায়ক, সাংসদ হিসাবে তিনি এসেছেন। বাড়ির অন্দরে সংস্কারের কাজে ও কিছু নির্মাণের কাজে তিনি একটা অঙ্কের অনুদানও দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য মহারাজরা তাঁকে এই অনুমতি দেওয়ার তিনি খুশি। পাশপাশি জানান, হিন্দু ও স্বামীজির আদর্শবাদী ভারতীয়দের ধমনীতে।
শুভেন্দু বলেন,তাঁর সিমলা স্ট্রিটে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। ফলে এটি নিয়ে রাজনৈতিক খোঁচা দেওয়ার কারণ নেই।
এদিকে বিবেকানন্দকে হাতিয়ার করে এদিন আসরে নেমেছিল রাজ্যের শাসক দলও। তৃণমূলের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন।
তার আগে বিবেকানন্দের সিমাল স্ট্রিটের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বামীজির বাড়িতে এদিন বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান অভিষেক।
এরপর তৃণমূলের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন।
গোলপার্কের বিবেকানন্দ মূর্তিতে মাল্যদান করে জন্মদিন উদযাপনের সূচনা করেন অভিষেক।
মিছিলে জনজোয়ার আনতে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায় দলীয় স্তরে বার্তা পাঠিয়েছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ওই বার্তায় জানান হয়েছিল ১২ জানুয়ারির মিছিলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
মিছিল শেষে নাম না নিয়েই বিবেকানন্দের বিষয়ে অতিসক্রিয়তা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক।