ভারতে খুব কমই এমন কেউ আছে যে সিঙ্গারার স্বাদ গ্রহণ করেনি। এটি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার। দেশের প্রতিটি ছোট-বড় শহর এবং গ্রামে সকলের কাছ থেকে সমান ভালোবাসা পায় সাঙ্গারা।
বাঙালির জীবনে শিঙাড়া একটা দারুণ ইভিনিং স্ন্যাকস। এই প্রতিবেদনে আমরা কলকাতার সেরা ৫ শিঙাড়ার দোকানের হদিস দেব আপনাদের।
কলকাতায় নানা জায়গায় ভাল স্বাদের শিঙ্গাড়া পাওয়া যায়। ভবানীপুরের নিউ সৌরাষ্ট্র নিমকি হাউসে পেঁয়াজের শিঙাড়া খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ পাওয়া ভার। বাইরেটা মুচমুচে আর ভিতরে আলু এবং পেঁয়াজের পুর। আহা, শুনলেই যেন জিভে জল।
শরৎ বসু রোডের মহারানির দোকানের কচুরির পাশাপাশি, শিঙাড়াও বেশ জনপ্রিয়। সঙ্গে এঁদের চা স্পেশাল চা খেতে ভুলবেন না।
ভবানীপুরের আর একটি বিখ্যাত শিঙাড়ার ঠিকানা রেলিশ। আলু খেতে যদি ভাল না বাসেন, তা হলে বরং চুঁ মারুন এই দোকানে। মুগ ডালের পুরের এই শিঙাড়া দারুণ লাগবে।
আপনজনের মাংসের শিঙাড়া থাকবে চার নম্বরে। পাঁঠার মাংসের কিমা করে তৈরি করা হয় পুর। বিক্রিতে একেবারে হট কেক।
চকোলেট শিঙাড়া পাওয়া যায় টামারাতে। এখানকার চকোলেট হেজেলনাট শিঙাড়া এক বার চেখে দেখতেই পারেন।
তিওয়ারি ব্রাদার্সে ঘি এবং আমচুর পাউডার দিয়ে তৈরি হয় পুর। কলকাতার শিঙাড়ার বৈচিত্রের অন্যতম নাম।
মৌচাক, পুঁটিরাম, বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক, ঘোষ অ্যান্ড সনস, ইত্যাদি নাম করা মিষ্টির দোকানের শিঙাড়ার কাছে কিন্তু হার মানবে অন্য সব কিছুই।
সিঙ্গাড়া ভারতীয় খাবার নয়। ইরানের মালভূমি থেকে ভারতে এসেছিল। ধারণা করা হয় যে সিঙ্গাড়ার জন্ম হয়েছিল মধ্য এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে। সেই সময় 'সান বোসাগ' বলা হত, যার অর্থ ফার্সি ভাষায় ত্রিভুজাকার পেস্ট্রি।