রুই মাছ প্রোটিনে ভরপুর। শরীরের পেশি গঠন ও মেরামতে সাহায্য করে। এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কাতলায় প্রচুর ভিটামিন এ ও ডি থাকে, যা চোখ ও হাড়ের জন্য উপকারী। এই মাছের ফ্যাটও উপকারী। তবে কোলেস্টেরল থাকলে কম খাবেন।
চিংড়িতে প্রোটিনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক আর আয়রন থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও চিংড়িতে সেলেনিয়াম নামের একটি উপাদান থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
বাটা মাছ খুবই সহজপাচ্য। যাঁরা একটু 'পেটরোগা' তাঁরা খেতে পারেন। দামেও সাশ্রয়ী। জিম করলে পেশি বাড়ানোর জন্য পাটামাছ বেশ ভাল। কারণ এটি প্রোটিনে ভরপুর। দ্রুত হজমও হয়। তাছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাসও আছে।
এই সব মাছেই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
মাছের প্রোটিন আর ওমেগা থ্রি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি ভাল করে।
নিয়মিত মাছ খেলে ত্বক উজ্জ্বল থাকে। চুল মজবুত ও ঝলমলে থাকে।
রুই, কাতলা বা বাটা, সব মাছেই ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে।
এই মাছগুলি খুব সহজে হজম হয়। শরীরে বাড়তি ফ্যাট জমতে দেয় না। তবে হ্যাঁ, কম তেলে রান্না করতে হবে।
মাছের প্রকৃত উপকার পেতে কম তেলে হালকা ভাজুন। ঝোল বা পাতলা ঝাল রান্না করাই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। খুব বেশি সময় ধরে ফোটাবেন না। সবজি দিয়ে ঝোল করতে পারলে সবচেয়ে ভাল।