Health Drinks For Diabetics: সারা বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সাম্প্রতিককালে এটি একটি খুব সাধারণ রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমে গেলেই আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় এই রোগ থেকে কখনওই সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যায় না।
তবে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে, আপনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। দুধকে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী মনে করা হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা কয়েকটি সাধারণ, ঘরোয়া উপাদান দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন। এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপাদান দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে...
দারচিনি এবং দুধ খান: রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারচিনি অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করা হয়। এটি এমন একটি মশলা যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
দারচিনিতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, বিটা-ক্যারোটিন, আলফা-ক্যারোটিন, লাইকোপিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী। রাতে ঘুমানোর আগে দুধে দারচিনি সিদ্ধ করে সেটি ছেঁকে পান করুন। রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
দুধে হলুদ: হলুদ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এমন অনেক পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায় যা শরীরকে আরও অনেক রোগ থেকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।
হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুনে সমৃদ্ধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
দুধের সঙ্গে বাদাম: বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, প্রোটিনে সমৃদ্ধ। বাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাদাম অত্যন্ত সহায়ক। বাদাম ভিজিয়ে পিষে তা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। উপকার পাবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি, টোটকা এবং দাবিগুলি bangla.aajtak.in যাচাই করে দেখেনি। এখানে শুধুমাত্র প্রচলিত ধারণা, টোটকাগুলির কথা বলা হয়েছে। এই ধরনের কোনও পদ্ধতি, টোটকা বা খাদ্য উপাদান খেয়ে দেখার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।