দ্রুত জীবনে আমরা রোজ বাজার করার সময় প্রায় কেউই পাই না। আমরা প্রায়ই ফ্রিজে দীর্ঘ সময় ধরে খাবার-ফল-সবজি সামগ্রী সংরক্ষণ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি করার ফলে কিছু জিনিস খারাপ বা ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর।
এরকইম একটি ফল হল টমেটো। এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে এবং এক সপ্তাহ বা এমনকী মাস ধরে রাখে। কিন্তু ডায়েটিশিয়ানের মতে, টমেটো কখনই ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খাওয়া উচিত নয়। ফ্রিজে রাখার পর খাবার খেলে এর স্বাদ বদলে যায় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
টমেটোতে পাওয়া লাইকোপেন একটি ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা এটির লাল রংয়ের কারণ। যখন টমেটো ফ্রিজে রাখা হয়, তখন ফ্রিজের ঠান্ডার কারণে লাইকোপিনের গঠন পরিবর্তন হয়। এটি এখন টমেটাইন গ্লাইকোলকালয়েড নামে একটি গ্লাইকোঅ্যালকালয়েডে পরিণত হয়।
এর ফলে নানা রকম শরীরে ক্ষতি করে। অন্ত্রের ফুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বমি এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে, এটি লিভার এবং কিডনিরও ক্ষতি করতে পারে।
তাই বেশিক্ষণ ফ্রিজে রাখার পর টমেটো ব্যবহার করা উচিত নয়। বরং এটি শুধুমাত্র ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। তবেই এটি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টমেটো ফ্রিজে রাখলে স্বাদ ও গন্ধ দুটোই বদলে যায়। টমেটো পাকার পর ইথিলিন গ্যাস নির্গত করে। ফ্রিজে রাখার পর টমেটোর ভেতরে থাকা জেলির ঘনত্ব ভেঙে যায়। যার কারণে এটি নরম হয়ে দ্রুত গলে যেতে শুরু করে। এর ফলে এর স্বাদও নষ্ট করে।
রেফ্রিজারেটরের ঠান্ডায় ইথিলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে টমেটোর স্বাদ বদলে যায় এবং টক হয়ে যায়। তাই টমেটো সব সময় ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।
টমেটো বাজার থেকে কিনে টাটকা খাওয়া সবচেয়ে ভাল। তা না হলেও এমনিই ২-৩ দিন রেখে খাওয়া যায়। আজ থেকেই ফ্রিজে রাখা বন্ধ করুন।