Advertisement

লাইফস্টাইল

2nd Highest Lake Of The World: স্বয়ং নানক এসেছিলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুদোংমার লেকে পদে পদে বিস্ময়

Aajtak Bangla
  • গ্যাংটক,
  • 13 Feb 2023,
  • Updated 2:33 PM IST
  • 1/10

সিকিম ঘুরতে যান অনেকেই, নাথুলাস, গ্যাংটক, ছাঙ্গু, বাবা মন্দির কিন্তু অনেকেই যান না গুরুডোংমার। গেলেও তার ইতিহাস বা মিথ সম্পর্কে জানেন না। এমনিতেই এখানকার সৌন্দর্য অপরূপ। তার উপর যদি এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তাহলে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসবে।

  • 2/10

সৌন্দর্য এবং ধর্মীয় বিশ্বাস, এর অপরূপ রূপ মাধুর্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আসুন জেনে নিই এর সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে। তাহলে সিকিম গেলে এই জিনিস কেউ মিস করতে চাইবেন না।

  • 3/10

সিকিমের মঙ্গনে তিব্বত এবং চিন সীমান্তে ঘেঁষা গুরুডোংমার হ্রদটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কিংবদন্তি দিয়ে ঘেরা। গুরুডোংমার হ্রদ হল ভারত ও বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হ্রদ। কারণ  সেরাটিও ভারতেই। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৫,১৮৩ মিটার। 

  • 4/10

প্রত্যাশামতোই শীতে যখন মাইনাসে চলে যায় এলাকার তাপমাত্রা, তখন গুরুডোংমার হ্রদের জল বরফে পরিণত হতে শুরু করে। তবে আশ্চর্যভাবে এই হ্রদের একটি অংশ কোনওদিনও জমে বরফ হয় না। আর তা নিয়েই রয়েছে নানা কিংবদন্তি।

  • 5/10

​বৌদ্ধদের বিশ্বাস ও কিংবদন্তী

বৌদ্ধ বিশ্বাস অনুযায়ী এই হ্রদ পরিদর্শন করেন বৌদ্ধমহাগুরু পদ্মসম্ভব। কিংবদন্তি, গুরু পদ্মসম্ভব, তিব্বত থেকে ফেরার পথে, দোরজি নাইমার নামে এক পবিত্র স্থান থেকে হ্রদটি পরিদর্শন করেছিলেন। সেই সময় এই হ্রদের সৌন্দর্য একই রকম থাকলেও সারা বছর বরফ জমে থাকত। এর ফলে স্থানীয়দের জলের জন্য বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয়। জলকষ্ট কমাতে তাঁরা গুরু পদ্মসম্ভবের কাছে আবেদন করেছিলেন বলে। তখন গুরু পদ্মসম্ভব হ্রদের একটি অংশে স্পর্শ করেন। হ্রদের সেই অংশটি তারপর থেকে আর কখনও হিমায়িত হয়নি। এর ফলে স্থানীয়দের জলকষ্ট মেটে। সেই থেকে,হ্রদটি পবিত্র মর্যাদা লাভ করে এবং বৌদ্ধদের তীর্থযাত্রার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে ওঠে।

  • 6/10

​শিখদের পবিত্র গুরুদোংমার

এদিকে আবার শিখদের কাছে গুরুডোংমার হ্রদের ধর্মীয় গুরুত্ব আলাদা। শিখদের বিশ্বাস, এই হ্রদটি পরিদর্শন করেছিলেন স্বয়ং গুরু নানক। তাঁর আশীর্বাদধন্য এই স্থান তাই অত্যন্ত পবিত্র। এই বিশ্বাসের কারণেই ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর শিখ রেজিমেন্ট এই স্থানে একটি গুরুদ্বার তৈরি করেছিল। পরে অবশ্য সেটি স্থানান্তরিত করা হয়।

  • 7/10

হিন্দুদের কাছেও পবিত্র

হিন্দুরাও এই হ্রদকে পবিত্র বলে মনে করেন। সিকিমের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। কোনও মানত করার থাকলে এই হ্রদটিতে পবিত্র হ্রদকে সাক্ষী রেখে মানত করেন তাঁরা। কোনও কিছু এই হ্রদে ফেলা হয় না। তাই কখনও গেলে এখানে কোনও বাইরের জিনিস ভেসে থাকতে দেখবেন না।

  • 8/10

গুরুডোংমার যাবেন কীভাবে?

গুরুডোংমার যেতে হলে লাচেন থেকে যাত্রা শুরু হয় মাঝরাতে। গুরুডোংমার যাওয়ার নিয়মই এ রকম। লাচেন থেকে মাঝরাতে বেরিয়ে প্রায় চার ঘণ্টার রাস্তা গুরুদোংমার। একবারে গ্যাংটক থেকে না যাওয়াই ভাল। আগের দিন লাচেন পৌঁছে বিশ্রাম নিন। তারপর মানিয়ে নিয়ে গুরুডোংমার রওনা দিন রাতে। নইলে হাই অল্টিটিউডে অনেকের সমস্য়া হতে পারে।

  • 9/10

শিলিগুড়ি থেকে রওনা হলে

শিলিগুড়ি থেকে যেদিন রওনা দিয়ে গ্যাংটক পৌঁছবেন, সেদিন আশপাশে ঘুরে নিন। পরদিন রওনা দিন লাচেন।  সেখানে ওইদিন ঘুরে বেড়ানষ মাঝরাতে রওনা দিন গুরুডোংমার। এতটুকু না করলে শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দূরত্ব কিলোমিটারের হিসেবে খুব বেশি না হলেও রাস্তাঘাট ন্যাশনাল হাইওয়ের মতো হবে না সেটাই স্বাভাবিক।

  • 10/10

খরচ কেমন?

সিকিম যাত্রার খরচ এমনিতেই একটু বেশি। তার উপর  আপনাকে পুরোটাই রিজার্ভ গাড়ির উপর ভরসা করতে হবে। তাই একজনের মাথাপিছু শিলিগুড়ি থেকে গুরুডোংমার ঘুরতে ৩-৪ দিনের জন্য ৮ থেকে ১০ হাজার পড়ে যাবে। তবে গ্রুপে গেলে এটা ৫-৬ হাজারেও নেমে আসতে পারে।

Advertisement
Advertisement