করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, চিকনগুনিয়া বা এই জাতিয় যে কোনও ভয়াবহ রোগের হাত থেকে বাঁচতে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হওয়া চাই। ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। শুধু তাই নয়, অসুস্থ হলে সুস্থ হয়ে উঠতেও অনেক বেশি সময় লাগতে পারে। কিন্তু শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কিনা তা বুঝবেন কী ভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক...
অনেকেরই মাঝে মাঝে নানা রকম অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনে জ্বর, সর্দি-কাশিতেও ভুগতে হয়। যদি কোনও খাবার থেকে ত্বকে জ্বালা, চুলকানির মতো অস্বস্তি শুরু হয়, যদি চোখ থেকে অনবরত জল পড়তে থাকে বা হঠাৎ করে পেটের সমস্যা বেড়ে যায়, তবে তা দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
যদি শরীরের কোনও অংশে কেটে-ছড়ে গেলে ক্ষত সারতে অনেক বেশি সময় লাগে বা সর্দি-কাশি, জ্বর অথবা কোনও রকম সংক্রমণ নিরাময় হতে অনেক বেশি সময় লাগে, তাহলে তা দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে ক্ষত সারতে সময় লাগলে তা ডায়াবেটিসের লক্ষণও হতে পারে।
যদি বারবার পেটের সমস্যা দেখা দেয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যা বা গ্যাস অম্বোলে ঘন ঘন ভুগতে হয়, তাহলে তা দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আন্দাজে ওষুধ না খেয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই জরুরি।
শরীর যদি বেশির ভাগ সময় অবসন্ন, ক্লান্ত লাগে বা পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও যদি শরীরে ঝিমুনি ভাব থেকে যায়, তাহলে বুঝতে হবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা হয়তো সঠিক ভাবে কাজ করছে না। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যদি দেখেন, বছরের অধিকাংশ সময় সর্দি-কাশি, জ্বর-জ্বালা-সহ নানা শারীরিক সমস্যায় ঘন ঘন ভুগতে হচ্ছে বা অসুস্থ হলে সেরে উঠতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিক ভাবে কাজ করছে না। এ ক্ষেত্রে আন্দাজে ওষুধ না খেয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই জরুরি।