স্মৃতিশক্তি শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য দরকার নয়, যাঁরা অফিস-কাছারিতে কাজ করেন তাঁদেরও মস্তিষ্ক সচল রাখতে হয়। আর মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করতে পারে ১০টি খাবার।
কফি- একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে কফি। এছাড়া ব্রেনে অ্য়ান্টি-অ্যাক্সিড্যান্ট পৌঁছে দেয়। শরীরের জন্য ক্যাফিন দরকারি। সামান্য় মাত্রা ক্যাফিন খাওয়া উচিত।
আখরোট- একটি সমীক্ষা বলছে যাঁদের ঘনঘন ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাঁদের জন্য মহৌষধি হতে পারে আখরোট। আখরোটে থাকে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন।
পালংশাক- পালংয়ে থাকে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। যা স্মৃতিশক্তি প্রবল করতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন বি৬ থাকে পালংয়ে। পালংশাকে থাকা ফোলেট অ্যালজাইমার, স্মৃতিশক্তি লোপ রুখতে কার্যকরী।
শরীরে শক্তি না থাকলে মস্তিষ্ক সচল থাকে না। এজন্য দরকার গ্লুকোজ। এজন্য তিসির বীজ ও অন্যান্য় শস্য খাওয়া উচিত।
মাছ- বাঙালি চিরকালই বুদ্ধিমান জাতি হিসেবে খ্যাত। সেটা বোধহয় মাছ খাওয়ার জন্য। মাছে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। শিশুদের মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য তা খুব উপকারি।
জল- মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশে রয়েছে জল। জলের অভাবে কোষ সংকুচিত হয়। মস্তিষ্কের কোষগুলিকে সচল রাখতে দিনে ৬-৮ গ্লাস জল খাওয়া উচিত বলে জানিয়েছে একটি সমীক্ষা।
চকোলেট- স্মৃতিশক্তির জন্য চকোলেট খুব কার্যকরী হতে পারে। চকোলেটে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়া আঙুর, পেঁয়াজ, বিয়ার এবং ওয়াইনেও থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড।
তাজা সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅ্যাক্সিড্যান্ট। ব্রকোলি, ফুলকপি ও অঙ্কুরিত ছোলা-বাদাম খুব উপকারী।
দুধ- দুধে থাকে ভিটামিন বি৫, বি১২, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। এছাড়া দুধে থাকা প্রোটিনও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
কালো জাম- কালো জামে থাকে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর নানা উপাদান। ঘনঘন ভুলে যাওয়ার ব্যমো থাকলে কালো জাম খান। কালো জামে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এছাড়া ব্রেনের কোষের বিকাশেও কার্যকর এই ফল।