Heart Attack: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি চলে গেলেন বিখ্যাত স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান, অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব। এর আগেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক তারকা। বিশ্বব্যাপী, হৃদরোগের কারণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক।
চিকিৎসকরা লোকেরা তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি করে, খাবার ও পানীয়ের অভ্যাসে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু মানুষ নিত্য ব্যস্ততায় এই সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে ভুলে যান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর যে রিপোর্টে উঠে এসেছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে হৃদরোগে। WHO-এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় হৃদরোগের কারণে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র হৃদরোগের কারণে প্রতি বছরে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ (১৭.৯ মিলিয়ন) মানুষের মৃত্যু হয়। হৃদরোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা অন্যান্য রোগে মৃতদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সচেতনতার অভাব এবং যথাসময়ে চিকিৎসার অভাবে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তবে তার মধ্যেও ৮৮ শতাংশ মানুষ সচেতন ভাবে হৃদরোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছেন।
WHO-এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিশ্বের যে ১৩০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বসবাস করেন। রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৬৫-৭০ কোটি মানুষ জানেনই না যে তাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন।
সারা বিশ্বের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা মানুষের বয়স ৩০ বছর থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। এনসিডি থেকে প্রতি দুই সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক রোগের কারণে প্রতি দুই সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হয়। এই পরিসংখ্যান WHOও প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান ডঃ টেড্রোস আধানাম বলেছেন যে পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক, জনগণকে তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। একই সঙ্গে ভারতীয় চিকিৎসকরা বলছেন, ভারতে প্রতি বছরই উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে।