শীতকালে চুল এবং ত্বকের অনেক সমস্যার মধ্যে খুশকি অন্যতম। এই ঋতু বিশেষভাবে সমস্যাজনক। অনেক সময়, মানুষ ঐতিহ্যবাহী ওষুধ থেকে শুরু করে শ্যাম্পু পর্যন্ত সবকিছু চেষ্টা করে, কিন্তু খুশকি থেকে যায়। কিছু প্রাকৃতিক, ঘরোয়া প্রতিকার শেয়ার করব যা খুশকির সমস্যা স্থায়ীভাবে দূর করবে।
শীতের খুশকির জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হল আমলকির গুঁড়ো এবং তেজপাতা। দুই চা চামচ আমলকির গুঁড়ো এবং ৫ থেকে ৬টি তেজপাতা আধা গ্লাস জলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন এবং আপনার চুলে ভালো করে লাগান। আধ ঘণ্টা পর ধুইয়ে ফেলুন। এটি চুল থেকে খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে।
শীতকাল হোক বা গ্রীষ্মকাল, চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করা অপরিহার্য। নিয়মিত চুল ধোয়ার ফলে জমে থাকা তেল এবং ময়লা দূর হয়। এটিই খুশকির কারণ, এবং যদি তাৎক্ষণিকভাবে এর সমাধান না করা হয়, তাহলে সমস্যা আরও খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে, মানুষ চুল কম ধোয় এবং এই সমস্যাটি গুরুতর হয়ে ওঠে।
শীতকালে নোংরা চুল খুশকির সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা বেশ বিরক্তিকর হতে পারে। খুশকির কারণে চুলকানি হতে পারে। এর সমাধান কেবল নিয়মিত ধোয়া নয়, বরং খুশকি-বিরোধী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া। নিয়মিত খুশকি-বিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহারে চুলের খুশকির সমস্যা দূর হয়।
শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ চুল ধোওয়ার জন্য গরম জল ব্যবহার করেন, যা খুশকি বাড়ায়। গরম জলের পরিবর্তে, হালকা গরম জল ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত গরম জল চুলের গোড়ার ক্ষতি করে।