শুরু হয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স উইক। প্রেমের সপ্তাহের প্রথম দিন রোজ ডে। এরপর প্রপোজ ডে, চকোলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিস ডে, হাগ ডে, কিস ডে এবং শেষ দিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
৯ ফেব্রুয়ারি উদযাপন হয় চকোলেট ডে। এদিন ভালোবেসে একে অপরকে চকোলেট দেন অনেকেই। যার মধ্যে ডার্ক চকোলেটের রয়েছে নানা উপকারিতা। পরিমাণ মতো খেলে, ক্ষতির চেয়ে উপকারই বেশি হয় চকোলেটে। জানুন ডার্ক চকোলেটের গুণাগুণ।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ডার্ক চকলেটে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমাতে খুবই উপকারী। ২০১২ সালের অস্ট্রেলিয়ায় এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অল্প পরিমাণে ডার্ক চকলেট খান, তাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
ডার্ক চকলেট কোলেস্টেরলের সমস্যায়ও সহায়ক। গবেষণায় বলা হয়েছে, ডার্ক চকলেট খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়ে। এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। কিন্তু ডার্ক চকলেট খেলে এই ঝুঁকি কমে।
২০১৫ সালে পরিচালিত একটি গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডার্ক চকলেট খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডার্ক চকোলেট খেলে সাদা রক্তকণিকাকে রক্তনালীতে লেগে থাকতে বাধা দেয়। হার্ট জার্নালে প্রকাশিত অন্য একটি গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন ডার্ক চকলেট খেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কম থাকে।
ডার্ক চকোলেট একটি দারুণ স্ট্রেস বুস্টার। মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমাতে দারুণ কার্যকরী। অল্প পরিমাণে ডার্ক চকলেট খেলেও, মস্তিষ্কে ডোপামিন নামে পরিচিত একটি সুখী হরমোন নিঃসরণ হয়। যা, মস্তিষ্কের স্বাভাবিকভাবে রিওয়ার্ড মেশিনেজম হিসেবে কাজ করে। তাতে মেজাজ বেশ ভাল থাকে।
গবেষকরা মনে করেন, ডার্ক চকলেট খেলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। এতে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় যা, মেটাবলিজমকে শক্তিশালী করে ফ্যাট বার্ন করে। অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, খাওয়ার পর ডেজার্ট হিসেবে ডার্ক চকলেট খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডার্ক চকলেট খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। ২০১২ সালে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ডার্ক চকোলেট খেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়, যা আপনার কাজ করার এবং মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়। ২০১৩ সালে জার্নাল অফ নিউরোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, ডার্ক চকলেট খেলে স্মৃতিশক্তি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
ডার্ক চকোলেটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।
প্রতিদিন চকোলেট খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। কারণ চকোলেটের প্রধান উপাদান কোকোতে রয়েছে পেন্টামেরিক প্রোসায়ানিডিন বা পেন্টামার নামে পরিচিত একটি যৌগ।