শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে কাছে কার্শিয়াং (Kursong) যাওয়ার পথে থেকে ছোট্ট জনপদ রোহিনী (Rohini)। হর হামেশাই শিলিগুড়ি থেকে লোক, স্কুটার-বাইকেও এখানে পৌঁছে যান। এমনিতেই পাহাড়ের পথে সমস্ত জায়গাই অপূর্ব সুন্দর। একদিকে খাদ, একদিকে খাড়া পাহাড়ের ঢাল। আর পাহাড়ের ঢালে চা বাগান।
২০০৪ সালে তৎকালীন দার্জিলিং গোর্খা হিল (DGHC) কাউন্সিলের সুপ্রিমো সুবাস ঘিসিং (Subhash Ghisingh) রোহিনী লেক (Rohini Lake)-এর উদ্বোধন করেন। তারপর তা দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়েছিল। ফলে সৌন্দর্যে ঘেরা এলাকা অনাদরে পড়ে ছিল।
কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকার কার্শিয়াং (Kurseong) থেকে রোহিনী পর্যন্ত রোপওয়ে (Ropeway) তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরেই রোহিনী লেকটি সংস্কারের কাজে হাত দেয় গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA)।
লেকটি ফের সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হতেই ফের জমজমাট। ২২ একর জমি নিয়ে এই লেকটি গড়ে উঠেছে। স্থানীয় গোলে পরিবার জমিটি দান করে। এখন শিলিগুড়ি ও আশপাশের মানুষের কাছে সারা দিনের ছুটি কাটানোর দারুণ জায়গা। প্রচার হলে বাইরের পর্যটকরাও দার্জিলিং বা কার্শিয়াং যাওয়ার পথে কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
এখানে এখন একটি মাত্র হোমস্টে রয়েছে। যেখানে থাকা যায়। তবে যেহেতু একটি তাই এখানে খুব বেশি লোক থাকার উপায় নেই। তবে শিলিগুড়িতে বা কার্শিয়াংয়ে থেকে দিব্যি এখানে ঘুরে যাওয়া যায় সারাদিন।
কীভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ি শহর থেকে দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। এনজেপি-বাগডোগ-তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে দিব্যি গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায়। তবে তাতে সারাদিনের গাড়ি রিজার্ভ করতে হবে। খরচ বেশি। বিকল্প উপায় রয়েছে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে দার্জিলিং বা কার্শিয়াংগামী শাটল গাড়িতে উঠে রোহিনীতে নেমে পড়ুন। জনপ্রতি ১০০ টাকা পড়বে।
কার্শিয়াং থেকে যদি রাত্রিবাস করে এখানে আসতে চান, তাহলে ৬০-৮০ টাকা পড়ে। ফলে বুঝতেই পারছেন হাতের নাগালেই এই টুরিস্ট স্পটটি।
শুধু রোহিনী নয়। গাড়ি ভাড়া করে যদি আসেন তাহলে কাছে মধুবন পার্ক, দুধিয়া, আরও একটু এগিয়ে শুকনা, রংটং ঘুরে আসতে পারেন। সহটাই ২০-২৫ কিলোমিটারের মধ্যে। ফলে সারাদিনের গাড়ি ভাড়া করলে পয়সা উশুল হয়ে যাবে।