পূর্বাভাস ছিলই। সেই মতোই ঠিক বড়দিনের দিন দার্জিলিংয়ে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হল। আচমকা তুষারপাতে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা, খুশি এলাকাবাসীও।
২৫ ডিসেম্বর দার্জিলিংয়ে পড়ল মরশুমের প্রথম বরফ, যা দেখতে উপচে পড়ল পর্যটকদের ভিড়। জানা গিয়েছে, টাইগার হিল, সিনচেল সংলগ্ন এলাকায় সকালে বরফ পড়েছে।
বরফের আস্তরণে বিস্তীর্ণ এলাকা ঢেকে যায়। দার্জিলিংয়ে আসলে পর্যটকদের মনে আশা থাকে বরফ দেখার। সেই স্বপ্ন তাঁদের পূরণ হল রবিবার।
মরশুমের প্রথম বরফ দেখতে পর্যটকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ছবি,সেলফি তোলাড় ভিড়ে মরশুমের শুরুতেই জমজমাট শৈলরানী। আগামী এক সপ্তাহ দারুণ কাটবে বলেই মনে করছেন সকলে।
শুধু ২৫ ডিসেম্বর নয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারিও বরফ পড়তে পারে এখানে। ফলে বাড়তি বরফ পড়ার পর খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।
এই মুহূর্তে দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা রাতের দিকে শূন্যর কাছাকাছি নামছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে জমজমাট শীতকালীন টুরিজম। আগামী এক সপ্তাহ তো বটেই, জানুয়ারি মাস জুড়েই থাকবে এই আবহ।
তবে যারা ৭-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা দেখে এসেছিলেন। তাঁরা আচমকা তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন। ফলে স্থানীয় মার্কেটে গরম পোশাক কিনতে ভিড় জমেছে। খুশি দোকানদাররাও।
অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং বর্ষশেষের আনন্দ উপভোগ করতে পর্যটকরাও ভিড় করেছেন। কলকাতা, মজঃফরপুর, দিল্লি, থেকে প্যারিস, বুদাপেস্টের পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন দার্জিলিংয়ে। তাঁরাও খুশি পরিচিত আবহাওয়া পেয়ে।
যাঁরা এখনও যাননি, তাঁরা হোটেল, হোম-স্টেগুলিতে খোঁজ লাগাচ্ছেন, কীভাবে যাবেন। আদৌ বুকিং মিলছে কি না। হোটেলগুলি ইতিমধ্যেই ভর্তি।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানাচ্ছেন, হোটেলে রুম প্রায় নেই। যা আছে চড়া ভাড়া। তবে এখনও অনেকেই রুম রেন্ট দেখছেন না। ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন।
(সমস্ত ফাইল ছবি)